
ওঙ্কার ডেস্ক: মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনার পর ত্রিবেণী সঙ্গম পুণ্যার্থীমুক্ত করতে নির্দেশ দিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। ইতিমধ্যে ত্রিবেণী সঙ্গম থেকে পুণ্যার্থীদের ভিড় সরানোর কাজ শুরু করেছে পুলিশ। পুণ্যার্থীদের সঙ্গমের ঘাটের দিকে যেতে নিষেধ করে মাইকিং করা হচ্ছে। ভিড় সরাতে নামানো হয়েছে ঘোড়সওয়ার পুলিশ।
বুধবার সকালে প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের ঘটনার ফলে গুরুতর আহত হয়েছেন ৩০ জন মহিলা। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে এখনও মৃতের সংখ্যা জানানো হয়নি। পদপিষ্টের পর উদ্ধারকাজে নামানো হয় আধাসেনা এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। ভিড় সরাতে নামানো হয় ঘোড়সওয়ার পুলিশও। পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (মহাকুম্ভ) বৈভব কৃষ্ণ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। মহাকুম্ভে অনেক আখড়াই সঙ্গমে স্নান করা বাতিল করেছেন। সাধারণ পুণ্যার্থীরাও যাতে সঙ্গমের দিকে না যান, তার জন্য বার বার মাইকিং করা হচ্ছে।
কিন্তু কেন ঘটল দুর্ঘটনা? সূত্রের খবর, মহাকুম্ভে প্রবল ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে গিয়েছিল। যার ফলে হুড়োহুড়ি করতে করতে একে অপরের উপরের পড়ে যান। তখনই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে এই ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন মোদী। এদিন নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।