
সুমন্ত দাশগুপ্ত, নয়াদিল্লিঃ মণিপুরে দুই মহিলাকে নির্যাতনের ঘটনায় মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাদল অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবন চত্বরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘মণিপুরের ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার। ওই ঘটনার জন্য দেশের ১৪০ কোটি মানুষের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে।’’
মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানোর ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরে বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। বিজেপি বিরোধী দলগুলি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-এর ইস্তফা দাবি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে মণিপুরে দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে চলা অশান্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীরবতা নিয়ে। বৃহস্পতিবার বাদল অধিবেশন শুরুর আগে মণিপুর নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদ ভবনের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘মণিপুরের ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের পক্ষে লজ্জার। ওই ঘটনার জন্য দেশের ১৪০ কোটি মানুষের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আশা করব আমাদের সরকারের জনমুখী বিলগুলি সাংসদেরা সমর্থন করবেন।’’ মণিপুরের পাশাপাশি রাজস্থান এবং ছত্তীশগঢ়ের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও সেই রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদের কাজের সময়ের সদ্ব্যবহারের জন্য আবেদন জানান বিরোধীদের কাছে।
পাশাপাশি কংগ্রেসের পক্ষে বৃহস্পতিবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে বাদল অধিবেশনে মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য। আগামী ১১ অগস্ট পর্যন্ত চলবে দ্বিতীয় মোদী সরকারের শেষ বাদল অধিবেশন।
প্রসঙ্গত, মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই কুকি, জ়ো-সহ বিভিন্ন জনজাতি গোষ্ঠীর সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই অশান্তি শুরু হয়। ‘দ্যা হিন্দু’ সূত্রের খবর, অশান্তিতে মণিপুরে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গৃহহীন হয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। এই আবহে, বুধবার কয়েকটি ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা গিয়েছে, উন্মত্ত জনতা রাস্তার উপর মহিলার পোশাক ছিঁড়ে নগ্ন প্যারেড করানো হয়েছে। আক্রান্ত দুই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ছবি এবং ভিডিও গুলির সত্যতা যাচাই করেনি ওঙ্কার বাংলা এবং Onkar Only Truth