
ওঙ্কার বাংলা অনলাইন ডেস্কঃ চাপে পড়ে মণিপুরের নকপোগে দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাটানো এবং গণধর্ষণের ঘটনায় এবার CBI তদন্তের নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। প্রসঙ্গত মনিপুরের হাই কোর্ট মেইতিদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মিছিল করে মনিপুরের জনজাতি ছাত্র সংগঠনগুলি। অভিযোগ সেই মিছিলে হামলা চালায় মেইতিরা। তারপরই ৩ মে থেকে কুকিদের সঙ্গে মেইতিদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উত্তপিত হয়ে ওঠে মনিপুর। গত দু মাসে দেড়শোরও বেশি সাধারণ মানুষের মৃ্ত্যু হয় এই জাতি দাঙ্গায়।
গত ৫ মে রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দুরে কাংপোকপিতে দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাটানো এবং গণধর্ষণের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। এই ইস্যুতে লাগাতার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিরোধীরা। বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের লাগাতার দাবি সত্ত্বেও সংসদে কোনও বিবৃতি দেননি প্রধানমন্ত্রী। এরপর সংসদে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। সেই নিয়ে এবার বিরোধীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে সরকারের প্রধান, নরেন্দ্র মোদিকে। তার আগে প্রবল ব্যাকফুটে থাকা বিজেপি কিছুটা বাধ্য হয়েই CBI তদন্তের নির্দেশ দিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এদিকে মণিপুরকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন প্রায় দু দশক আগে মণিপুরে অসম রাইফেলসের সদর দফতরের সামনে নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ জানানো ১২ জন মহিলা। ২০০৪ সালের ১৫ জুলাই অসম রাইফেলসের সদর দফতরের সামনে নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ জানানো মণিপুরের মা, জ্ঞানেশ্বরী দেবী, রমানি দেবীরা বলেছেন মণিপুরের ঘটনায় তাঁরা স্তম্ভিত, হতবাক। আমাদের একটাই অভিযোগ অপরাধীদের কঠিনতম শাস্তি দিক সরকার। কথাটা কি সরকার বাহাদুরের কানে ঢুকলো, কে জানে ?