
স্পোর্টস ডেস্ক : লজ্জার হার। ঘরের মাঠে পাঁচ গোল হজম মোহনবাগানের। জঘন্য ফুটবল। এক গোলে এগিয়েও পাঁচ গোল খেল জুয়ান ফেরান্দোর দল। ঘরের মাঠে স্বপ্নের জলাঞ্জলি। মরণ-বাঁচন ম্যাচে শোচনীয় হার মোহনবাগানের। সোমবার যুবভারতীতে ওড়িশা এফসির কাছে ২-৫ গোলে হেরে এএফসি কাপ থেকে বিদায় নিল মোহনবাগান। এদিন মাঠে নামার আগে মাজিয়ার বিরুদ্ধে বসুন্ধরা কিংসের ২-১ ব্যবধানে জয়টা তাদের ফুটবলারদের কিছুটা হলেও চাপে ফেলে দিয়েছিল। পরবর্তী পর্বে যাওয়ার জন্য বসুন্ধরা-মাজিয়া ম্যাচের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ ছিল মোহনবাগানেরকাছে। ওড়িশার কাছে ৫-২ গোলে হারের পর হারের পর ফেরান্দো বলেন, ‘আসলে বসুন্ধরা ম্যাচটি জিতে যাওয়ায় আমাদের ফুটবলাররা ভাবতে শুরু করেছিল যে, ম্যাচটা জিততেই হবে। আমরা যখন ওয়ার্ম আপ করছিলাম, তখন মাজিয়া এক গোলে এগিয়ে ছিল। তার পর খেলা শুরুর আগে জানতে পারি, ম্যাচটা বসুন্ধরা জিতেছে। ফুটবলারদের মনে ওই ফলাফলটা ঘুরছিল। প্রথম কুড়ি মিনিট ভালো খেললেও, তার পর খেলা থেকে হারিয়ে যায় ছেলেরা। শেষের দিকে অলআউট খেলতে গিয়ে শেষ দু’টি গোল হজম করেছে।এখন ফোকাস আইসএলে। সামনেই হায়দরাবাদ ম্যাচ। জানুয়ারিতে সুপার কাপ। সেই নিয়েই ভাবতে হবে।এটাই ফুটবলের অঙ্গ। সত্যি কঠিন বিষয়। তবে এটা নিয়ে আর বলে লাভ নেই।দিমিত্রি পেত্রাতোসের অনুপস্থিতিতে আরও তালকানা দেখাল বাগানের আক্রমণকে। কামিন্স নব্বই মিনিট পর্যন্ত কী করলেন বোঝা গেল না। তেমনই সাদিকু। মোহনবাগানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই প্রথম পাঁচ গোল হজম ফেরান্দোর। বছর দুয়েক আগে মুম্বই সিটির কাছে আইএসএলের ম্যাচে পাঁচ গোল খেয়েছিল সবুজ মেরুন।