
স্পোর্টস ডেস্ক :মোহনবাগান দিবসে মোহনবাগান রত্ন পেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আর মোহনবাগান রত্ন পুরস্কার নিলেও ২ লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কার মূল্য তিনি ফিরিয়ে দিলেন ক্লাবের ইয়ুথ ডেভলপমেন্ট ফুটবলের জন্য। ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, এই কথাটা সৌরভ গোপন রাখতে বলেছিল। কিন্তু সৌরভের উদারতা আমি চাই সকলে জানুক তাই বললাম।’ এদিকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মোহনবাগান রত্ন পেলেন আর ১ অগাস্ট ইস্টবেঙ্গলের ভারত গৌরব পাবেন। আপ্লুত মহারাজ জানালেন,’ময়দানে আমার বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। আমি দুটো ক্লাবেই খেলেছি। তাই সম্মানিত হয়ে ভাল লাগছে। মোহনবাগান ক্লাব নিয়ে বেশি বলার দরকার পড়ে না। এই ক্লাব সারা পৃথিবীর মানুষ চেনে। ১৯১১ সালের ২৯ জুলাই একটি স্মরণীয় দিল। মোহনবাগান স্পোর্টিং ক্লাব ছিল। এক সাহেব নাম পাল্টায়। খেলার মাঠ ইতিহাসের জায়গা। মানুষ ইতিহাস মাথায় রেখে যেকোনও ক্রীড়াকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমি শুধু ১৯১১ দিয়ে মোহনবাগানকে যাচাই করি না। আমার বড় হওয়া ফুটবলের মাঠে। রোজ বিকেলে চারটেয় বাবার মেম্বারশিপ নিয়ে আমি ব়্যাম্পার্টে বসে খেলা দেখতাম। সবার খেলা দেখেছি। মোহনবাগান ক্লাব প্রচুর রত্ন দিয়েছে বাংলার তথা ভারতীয় ফুটবলকে। ৯০ মিনিট লড়াইয়ের। তার বাইরে বাকি সমস্ত ক্লাবকে একজোট হতে হবে। আমার কাছে খেলার মান এগিয়ে নিয়ে যাওয়া জরুরি। বাংলা সন্তোষ জেতেনি। বাইরের প্লেয়াররা খেলে। তিনটে বড় ক্লাব এবং ময়দানের বাকি সব ক্লাবকে ফুটবলের মান বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। ময়দান পশ্চিমবঙ্গের খেলাধুলোর হার্টবিট। খেলার প্রতি সততা বজায় রাখতে হবে। আমার সময় মোহনবাগান মাঠে একটা মাত্র প্র্যাকটিস পিচ ছিল। দুপুরে স্কুল কলেজের পর মাঠে এসে সেই পিচে ঘণ্টার পর ঘন্টা কাটিয়েছি।’এছাড়া ভারতের ফুটবল বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে আশাবাদী সৌরভ বললেন,অনেকে বলতে পারেন আমি বেশি বলি। কিন্তু আমি আশাবাদী, জীবদ্দশায় ভারতকে বিশ্বকাপে খেলতে দেখতে পারব। যদি আমরা অলিম্পিকে পদক জিততে পারি, তাহলে বিশ্বকাপেও খেলতে পারব। ১৪০ কোটির দেশে দরকার ৫০ জন ফুটবলার, যাঁরা নিরলস অনুশীলন চালাবেন। ১৬ বছরের ইয়ামাল স্পেনের হয়ে ইউরো কাপ ফাইনাল খেললে আমরাও পারব, এই বিশ্বাস রাখতে হবে।’মোহনবাগান দিবসে ১৯১১ সালের শিল্ডজয়ী দলের পরিবারকে সংবর্ধিত করা হয়। ১৯৩৯ সালের প্রথম লিগ জয়ের অধিনায়ক বিমল মুখার্জিকে জীবনকৃতি সম্মানে ভূষিত করা হয়। তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সেরা ফুটবলার মনোনীত হন দিমিত্রি পেত্রাতোস। ভিসা সমস্যায় কলকাতায় এসে পৌঁছতে পারেননি অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার। তাঁর পুরস্কার গ্রহণ করেন মনবীর। সেরা ফরোয়ার্ড মনবীর সিং।অরুণ লাল নামাঙ্কিত সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পান অভিলিন ঘোষ। বর্ষসেরা উদীয়মান ফুটবলার হন সুহেল আহমেদ ভাট। হকিতে পুরস্কার পান সৌরভ পাস্সি। সেরা অ্যাথলিটের পুরস্কার পান করুনাময় মাহাতো। অঞ্জন মিত্র নামাঙ্কিত সেরা আয়োজক পুরস্কার পেলেন সৌরভ পাল। প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক অবসরপ্রাপ্ত রেফারি দীলিপ সেনকে সম্মানিত করা হয়। বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবাশিস দত্ত পান সেরা সাংবাদিকের পুরস্কার। সেরা সমর্থক বাপি মাঝি এবং অজয় পাসওয়ান। জমকালো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোহনবাগানের সভাপতি টুটু বসু, সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ, সচিব দেবাশিস দত্ত সহ বাগানের বাকি কর্তারা।