
স্পোর্টস ডেস্ক :ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে অল্পের জন্য জয় হাতছাড়া হওয়ার পর আফসোস করলেও মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কোচ হোসে মোলিনা দলের ওপর আস্থা রেখেছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচেই সেই আস্থার দাম দিলেন তাঁর দলের ফুটবলাররা, দলকে এক দুর্দান্ত জয় এনে দিয়ে।
সোমবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নর্থইস্ট ইউনাইটেডের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে বিরতিতে ১-২-এ পিছিয়ে থাকার পরেও শেষ পর্যন্ত ৩-২-এ ম্যাাচ জিতে মাঠ ছাড়ে সবুজ-মেরুন বাহিনী। ডুরান্ড কাপ ফাইনালের চেয়েও কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় পরষ্পরকে। চার মিনিটের মাথায় মরক্কান মিডফিল্ডার মহম্মদ আলি বেমামের ও তার পাঁচ মিনিট পরেই বাংলার তরুণ ডিফেন্ডার দীপ্পেন্দু বিশ্বাস দুর্দান্ত গোল করে ১-১ করে ফেলেন। ২৪ মিনিটের মাথায় আর এক মরক্কান আলাদ্দিন আজারেই দলকে ফের এগিয়ে দেন। বিরতির পর ৬১ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানের অধিনায়ক, আর এক বঙ্গসন্তান শুভাশিস বোস ফের সমতা আনেন এবং শেষে কামিংসের গোলে তাদের সেই মরিয়া লড়াই সফল হয়।
এ ভাবে দল জয়ের সরণীতে ফেরায় বেশ খুশি কোচ মোলিনা সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ম্যাচটা জিততেই চেয়েছিলাম। মরশুমের প্রথম জয় এল। তাই আমি খুশি। এত গোল খাওয়া নিয়ে যে আমি খুশি নই, তা তো আগেও বলেছি। তবে আজ দলের ছেলেরা যে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে, হাল ছেড়ে দেয়নি, সে জন্য আমি খুশি। নর্থইস্টের বিরুদ্ধে খেলা মোটেই সোজা নয়। ওরা আমাদের প্রথম মিনিট থেকেই চাপে রেখেছিল। অসাধারণ দৌড়েছে। রক্ষণও সামলেছে দারুন। ওরা বারবার আমাদের রক্ষণে চিড় ধরানোর চেষ্টা করেছে। সফলও হয়েছে। তবে আমাদের ডিফেন্ডাররাও খুব ভাল খেলেছে আজ। তবে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। এখনও অনেক ভুল হচ্ছে। সেগুলো শোধরাতে হবে”।
পাল্টা গোল করে জিতলেও গোল খাওয়ার রোগ সারছে না মোহনবাগানের। এই নিয়ে তাদের কোচ বলেন, “আজকেও আমাদের দু’গোল খেতে হয়েছে, যেটা মোটেই ভাল না। তবে আজ আমাদের ডিফেন্স আগের চেয়ে অনেক ভাল হয়েছে। গত ম্যাচেও আমরা দু’গোল খেয়েছিলাম এবং সেই ম্যাচে জিততে পারিনি। তবে এই ম্যাচে দু’গোল খেলেও আমরা জিতেছি। কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, গোল খাওয়া, না জয়? তবে এটা অবশ্যই চিন্তার বিষয় এবং আমাদের এই নিয়ে আরও পরিশ্রম করতে হবে”।
এ দিন অসাধারণ এক গোল করে প্রথমবার সমতা আনেন বাংলার ডিফেন্ডার দীপ্পেন্দু বিশ্বাস। বাঁ প্রান্ত থেকে পেট্রাটসের লম্বা ফ্রি কিক উড়ে আসে বক্সের মধ্যে থাকা অরক্ষিত দীপ্পেন্দুর মাথায়। তিনি অনেকটা লাফিয়ে উঠে দ্বিতীয় পোস্টের দিকে হেড করেন, যা জালে জড়িয়ে যায়। তরুণ ডিফেন্ডারের প্রশংসা করে মোলিনা বলেন, “দীপ্পেন্দু বেশ ভাল গোল করেছে। আমি ওর পারফরম্যান্সে খুশি। খুব পরিশ্রমী ছেলে ও। প্রথম দিন থেকে ও রোজই উন্নতি করছে। আমার মনে হয়, ও নিঃসন্দেহে এখন ভারতের অন্যতম সেরা সেন্টার ব্যাক। ও যদি এরকম খেলে যেতে পারে, তা হলে খুব তাড়াতাড়িই ও জাতীয় দলের হয়েও খেলবে”।