
স্পোর্টস ডেস্ক :মঙ্গলবার এএফসি কাপের ম্যাচে ঢাকা আবহনীকে ৩-১ গোলে হারিয়ে মূল পর্বে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। তবে মোহনবাগানের ফুটবল কিন্তু যুবভারতীতে উপস্থিত অনেক মোহনবাগান সমর্থকের মনে ধরেনি। এই বিষয়ে ম্যাচের শেষে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দ জানালেন,আমরা এখন ৫০ শতাংশ তৈরি হয়েছি এবং এখনও প্রচুর কাজ বাকি রয়েছে। আসলে একসঙ্গে একাধিক টুর্নামেন্ট খেলতে হচ্ছে আমাদের। কয়েকজনকে আবার ভারতীয় দলের শিবিরেও চলে যেতে হবে। আমার মনে হয় এখন থেকে প্রতি দিন, প্রতি সেশনে দল উন্নতি করবে। এর পরে যখন দল মাঠে নামবে, তখন খেলোয়াড়দের দেখে বুঝতে পারবেন, ফিটনেস ক্রমশ বাড়বে তাদের।
আমার কাছে এখন দলের খেলোয়াড়দের রিকভারি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমাদের শিবিরে কয়েকজনের চোট রয়েছে। তাই আমার কাছে একটা ভাল রিকভারি সেশন এখন খুবই প্রয়োজনীয়। তার পরে ওই (মুম্বই) ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নেব। জেসন কামিংস (আবাহনীর বিরুদ্ধে) ৮০ মিনিট খেলেছে। ওকে পুরোপুরি তরতাজা করে তুলতে হবে। তাই এখনই পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবা আমাদের পক্ষে বেশ কঠিন। কাল থেকে প্রস্তুতি পর্ব শুরু করা যাবে।’
মঙ্গলবার সদ্য আসা স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হেক্টর ইউস্তের পারফরম্যান্স দেখার পর বাগান কোচ মন্তব্য করেন, “হেক্টর একদিন আগেই দলে যোগ দিয়েছে। আজ পুরো ৯০ মিনিট খেলেছে। ওকে আমরা দুটো বিষয়ে খুঁটিনাটি বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। ওর পারফরম্যান্সে আমি খুশি। ও আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। কারণ, ও আক্রমণ তৈরিতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই আক্রমণেও সাহায্য করে। ওঠা-নামাতেও সাহায্য করে। আমি জানি, ওর প্রতিভা আছে। মনে হয়, অনুশীলনে ওকে আরও উন্নত করে তোলা যাবে”।
বিশ্বকাপার গোল করা বাগানের জেসন
কামিংস জানালেন, “প্রথমার্ধে আমরা ভাল খেলতে পারিনি। পেনাল্টিটাই আমাদের ফের জীবন ফিরিয়ে দেয়। গোলটা করতে পেরে ভালই লেগেছে। আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে, প্রতিপক্ষের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে হবে। কোচ সেটাই বলেছিলেন যে, আমাদের আরও বাড়তি কিছু করতে হবে। বল আরও বেশি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, চাপও বাড়াতে হবে। তখন আমরা বল নিয়ন্ত্রণে রাখা শুরু করি, দুই দিক দিয়ে আক্রমণে উঠতে শুরু করি এবং আরও বেশি সুযোগ তৈরি করি। দুটো গোল পেয়েছি। দুর্দান্ত জয় পেলাম। গ্রুপ পর্বে পৌঁছতে জয়টাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই ম্যাচে। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের খেলা অনেক ভাল হয়েছে”।