
স্পোর্টস ডেস্ক :একটু আশঙ্কা ছিলই। যেভাবে আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে নর্থ ইস্ট ম্যাচের প্রথম থেকেই চাপে ফেলে দিয়েছিল সেখান থেকে মোহনবাগান ফুটবল সমর্থকদের চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে সব চিন্তা দূর হল। নর্থ ইস্ট এর কাছে ৪-২ গোলে হেরেই যুবভারতী ছাড়লো টিম সবুজ মেরুন। এদিন ম্যাচের শুরুতেই ৫ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল হজম করে নেয় মোহনবাগান। নর্থ ইস্ট দলের হয়ে গোল করেন টমি জুরিচ । এরপর মোহনবাগানকে বেশ ছন্নছাড়াই লাগে। ২১ মিনিটে নর্থ ইস্ট এর শট বারপোস্টে লেগে ফেরে আসে। নাহলে আবার একটা বিপদের আশঙ্কা ছিল।২৯ মিনিটে জনি কাউকোর হেডার!!! গোলপোস্টের একটু উপর দিয়ে উড়ে যায় বল। কর্নার লাইনের কাছে বাঁ-প্রান্ত থেকে সেন্টার তোলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। সেখান থেকে ঘুরেফিরে বলটা কাউকোর মাথায় আসে। গোলের একেবারে সামনে থেকে হেডার। তবে পারেননি হতাশ হবেন কাউকো। ৩৩ মিনিটে ফের বেঁচে যায় মোহনবাগান। মাঝমাঠের নীচ থেকে বলটা পেয়েই ডানপ্রান্তে বাড়িয়ে দেওয়া হয়। মাঝখান থেকে উঠে আসেন জিতিন। যিনি দীপেন্দুকে কার্যত টার্গেট করে নিয়েছেন জিতিন। তবে গোল হয়নি। ৪৫ মিনিটে সমতায় ফেরায় মোহনবাগান। লিস্টন কোলাসোর জোরালো শটে গোলে খাতা খোলে টিম বাগান। এরপর ফের অতিরিক্ত সময়ের ৪৯ মিনিটে জনি কাউকোর পাস থেকে গোল করেন জেসন কামিন্স। প্রথমার্ধের ছিল ২-১ ফলাফল। কিন্তু সেকেন্ড হাফের শুরুতেই মোহনবাগানের বিপদ দেখা দেয়। ৫০ মিনিটে টম জুরিচ ফের গোল করে যান । ডানপ্রান্ত থেকে ক্রস তোলা নেস্টর হেড করেন। বক্সের মাথার উপর বল পান জুরিচ। তাঁর গায়ে লেগে ছিলেন দীপেন্দু। কিন্তু শারীরিক ক্ষমতায় পেরে উঠলেন না দীপেন্দু। তিনি পড়ে যান। তারপর একেবারে ঠান্ডা মাথায় মোহনবাগানের গোলে বল ঢুকিয়ে দেন জুরিচ। গোল খেয়ে যদিও মোহনবাগান তেতে ওঠে।৫৩ মিনিটে মোহনবাগানের ত্রাতা রূপে ধরা দেন সেই পেত্রাতোস। লিস্টন কোলাসোর পাস বাড়ান জেসন কামিন্সকে। ফিরতি বলে গোল করে যান দিমি।৫৭ মিনিটে ফের গোল দেয় মোহনবাগান। জনি কাউকো বক্সের বাইরে থেকে পাস দেন সাহালকে । তারপর সাহাল নর্থ ইস্ট বক্সের মধ্যে ঢুকে গোল করে যান।জেতার জায়গায় পৌঁছে পরিবর্তনের দিকে হাঁটেন বাগান কোচ আন্টেনিও লোপেজ হাবাস।৬৭ মিনিটে জনি কাউকোকে তুলে দীপক টাংরিকে নামান।৭৭ মিনিটে কামিন্সকে তুলে সাদিকুকে নামান। তবে ম্যাচে আর গোলের পরিস্থিতি তৈরী হয়নি। হাসি মুখে মাঠ ছাড়লো টিম হাবাস। প্রথম দুইয়ের উঠে শিল্ড জয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেলো শতবর্ষ প্রাচীন ক্লাব।