
স্পোর্টস ডেস্ক :Afc কাপের হারের বদলা আর নেওয়া হল না মোহনবাগানের। তবে আইএসএলে যুবভারতীতে ওড়িশা এফসির কাছে হারা ম্যাচ সাদিকুর করা জোড়া গোলে ২-২ ব্যবধানে ড্র করে কিছুটা মানরক্ষা হল টিম বাগানের । একইসঙ্গে টানা ৫ ম্যাচে জয়ের পরে অবশেষে বাধা পড়ল সবুজ মেরুনের বিজয়রথে। তবে চোট সমস্যায় জর্জরিত বাগানের কাছে এই ড্র অনেকটাই স্বস্তির।ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেই এদিন চোট পান হুগো বুমোস। তার জায়গায় নামেন জেসন কামিংস।ম্যাচের শুরুটা ভালোই করে মোহনবাগান।৮ মিনিটে বাঁ-প্রান্ত থেকে ফ্রি-কিক লিস্টন কোলাসোর। বলের নাগাল পেলেন না মোহনবাগান বা ওড়িশার খেলোয়াড়রা। দুর্বল ফ্রি-কিক হলেও কিছুটা চাপে ফেলে দেয় ওড়িশার গোলকিপার অমরিন্দর সিংকে। ১৯ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে ক্রস ওড়িশার জেরির। মোহনবাগানের বক্সে বলটা ক্লিয়ার করে দিলেন হেক্টর ইউস্তে। তবে পুরোপুর বিপদ কাটেনি। তারপর ফের বক্সের ভিতরে পাস। এবার প্রথম পোস্টের সামনে থেকে গোলে বল ঢোকানোর চেষ্টা। তবে ব্র্যান্ডন হামিল সেই শটটা ব্লক করে দেন বেঁচে যায় মোহনবাগান।২৭ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে ফ্রি-কিক নেয় মোহনবাগানের। কার্যত ফ্রি-হেডার হেক্টর ইউস্তের। তারপরও তেকাঠিতে বল রাখতে পারলেন না। ৩১ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে গোল পায় ওড়িশা।ওড়িশাকে এগিয়ে দেন আহমেদ। এরপর প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ৪৮ মিনিটে ফের গোল পায় ওড়িশা।ফের গোল করেন আহমেদ।মোহনবাগান বক্সের বাইরে সাহাল আবদুল সামাদের থেকে বল কেড়ে নেন আহমেদ। বলটা পান ব্রাজিলিয়ান তারকা। তিনি আহমেদকে বল বাড়ান। সহজে গোল করে যান আহমেদ। এরপর সেকেন্ড হাফে আক্রমণ শুরু করে মোহনবাগান। যদিও ম্যাচের ৫২ মিনিটে ওড়িশার বক্সে ফাঁকা পেয়েও সাদিকু গোল করতে পারলেন না। তবে আক্ষেপ মিটলো।৫৮ মিনিটে বক্সের বাইরে দুর্দান্ত চিপ হেক্টর ইউস্তের। কর্নার লাইনের মাথা থেকে কিয়ান নাসিরি বক্সের মধ্যে পাস বাড়ান আর্মান্দো সাদিকুর দিকে। অবশেষে গোল পেলেন সাদিকু। ব্যবধান কম করে বাগান। ৭১ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন গ্লেন মার্টিনেন্স । তার জায়গায় নামেন দীপক ট্যাংরি।এই নিয়ে তৃতীয় মোহনবাগান খেলোয়াড় চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ে ওড়িশা ম্যাচে।৮৩ মিনিটে পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনার মতো একটা সুযোগ পায় মোহনবাগান। তবে লাভ হয়নি । বক্সের বেশ খানিকটা দূর থেকে শট জেসন কামিন্সের। বলটা ধরতে গিয়ে নড়বড় করেন ওড়িশার গোলকিপার অমরিন্দর সিং। বলটা তাঁর বুকে লেগে যায়। এরপর কিয়ান নাসিরিকে তুলে বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দ সুহেল ভাটকে নামান
। তবে খুব দেরি হয়ে যায়।৯০ মিনিটে কোনওক্রমে বেঁচে যায় মোহনবাগান। গোল তুলে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে এগিয়ে যায় তারা।সেই সুযোগ উঠে আসে ওড়িশা। গোললাইন ছেড়ে বেরিয়ে দুর্দান্ত সেভ করেন বিশাল কাইথ। ম্যাচের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয় ৮ মিনিট। আর এখানেই বাজিমাত বাগানের।৯৩ মিনিটে ফের গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান সেই সাদিকুই। হারা ম্যাচ ড্র করে নৈতিক জয় পেলো শতবর্ষ প্রাচীন ক্লাব।