
স্পোর্টস ডেস্ক : ———–প্রশ্ন কোচের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে। একাধিক চোট, লাল কার্ডের সমস্যায় জর্জরিত থাকা ঘরের মাঠে যুবভারতীতে এফসি গোয়ার কাছে ৪-১ গোলে হার মোহনবাগানের। আর এদিনের হারের পরে বাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দর স্ট্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেলো। আর সমর্থকরা গো ব্যাক জুয়ান স্লোগান দিলেন।বিক্ষোভ দেখালেন।যদিও বাগান সচিব দেবাশিস দত্ত সমর্থকদের আশ্বাস দিয়ে বললেন একটু ধৈর্য্য ধরুন ঠিক হয়ে যাবে সব লম্বা টুর্নামেন্ট।অর্ধেক ফিট গ্ল্যান ও দীপক টাঙরিকে মাঠে নামাতে বাধ্য হন মোহনবাগান কোচ। সিনিয়র ডিফেন্ডার শুভাশিস বোসকে এ দিন চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি। ম্যাচের শেষ দিকে হ্যামিল চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে গেলেও তাঁর পরিবর্ত খেলোয়াড় নামাতে পারেননি ফেরান্দ। এই সময় প্রায় মিনিট কুড়ি দশজনে খেলতে হয় তাদের।
এই হতাশাজনক হার নিয়ে ফেরান্দ সাংবাদিকদের বলেন, “মুম্বইয়ের ম্যাচে কী হয়েছে আপনারা দেখেছেন। একাধিক লাল কার্ড। তার ওপর আমাদের একাধিক খেলোয়াড়ের চোট। আজ যারা প্রথম এগারোয় ছিল, তারাও সবাই পুরো ফিট ছিল না। তা সত্ত্বেও তারা সর্বশক্তি দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছে। শেষে ২৫ মিনিট আমাদের দশ জনে খেলতে হয়েছে। এই ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য আমাদের হাতে সময়ও ছিল না। এরকমই পরিস্থিতি আমাদের। এগুলো সবই আমাদের এই পারফরম্যান্সের কারণ, এগুলো অজুহাত নয়। বাস্তবটা মেনে নিতেই হবে এবং সামনের দিকে তাকাতেও হবে। আজ আমরা যাদের হাতে পেয়েছি, তাদের খেলাতে বাধ্য হয়েছি। এর চেয়ে ভাল কিছু করা বোধহয় সম্ভব ছিল না”।
ম্যাচের শুরুর দিকেই পেনাল্টি পেয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন নোয়া সাদাউই। এই গোলের পরেই তাঁর দলের কাজ আরও কঠিন হয়ে পড়ে বলে মনে করেন ফেরান্দো। বলেন, “এত তাড়াতাড়ি ওরা পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ পেয়ে গেল! ওই সময় গোল খেয়ে গেলে, তাও আবার পেনাল্টি থেকে, পরিস্থিতি খুবই কঠিন হয়ে যায়। দলের অনেকেই আজ যে ভূমিকা পালন করেছে, তা প্রথমবারের জন্যই করেছে। তার ওপর যথেষ্ট চাপ সামলাতে হয়েছে। এই অবস্থায় খেলোয়াড়দের পাশে থাকাটা বেশি জরুরি। কৌশল, পরিকল্পনা এ সব নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। এখন খেলোয়াড়দের কঠিন মানসিক শক্তিই বেশি প্রয়োজন”।