
স্পোর্টস ডেস্ক :স্নায়ুর চাপ সেটা বড় দলের বিরুদ্ধে ছোট দল নিতে পারে না। কলকাতা ফুটবলে তো নয়ই। সেই চাপ নিতে না পারার প্রমাণ ফের পাওয়া গেলো কলকাতা লিগে। শনিবাসরীয় মোহনবাগান মাঠে একের পর এক সুযোগ নষ্ট ফলস্বরূপ জেতা মোহনবাগান ম্যাচে জয় হাতছাড়া করল নবাব ভট্টাচাৰ্যর ইউনাইটেড স্পোর্টস। ফলস্বরূপ ঘরের মাঠে ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারালো মোহনবাগান।এদিন ম্যাচের ২৮ মিনিটে নওরেমের অনবদ্য শটে গোল পায় মোহনবাগান।৩৫ মিনিটে ইউনাইটেডের দীপেশ নিশ্চিত গোলের নষ্ট করেন। বল বাঁচালেন বাগান কিপার। গোলের কাছাকাছি গিয়েও শেষরক্ষা হল না। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ ব্যবধানে। দ্বিতীয়াধে ম্যাচের ৬৮ মিনিটে পরের মিনিটেই দিনের সহজতম সুযোগ নষ্ট করে ইউনাইটেড। আবার গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন মোহনবাগানের গোলকিপার অর্শ। তখনও ইউনাইটেডের ফুটবলার বাহাদুর গুরুংয়ের পায়ে বল ছিল। কিন্তু ফাঁকা গোলেও বল ঠেলতে পারেননি তিনি।
পরের দিকে আরও একটি সুযোগ মিস্ করে ইউনাইটেড। ফলে প্রতি আক্রমণে যায় ইউনাইটেড। ৮৫ মিনিটে ১৮ গজ দূর থেকে জোরালো শটে গোল করেন সুহেল। কাশ্মীরের এই ফুটবলার দু’দিন আগে ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচেও গোল করেন। কলকাতা লিগেও নিজের অষ্টম গোলটি করেন।
প্রতি আক্রমণে উঠে নওরেম ফের বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। কিন্তু নওরেমের শটটি দুরন্ত ভাবে বাঁচিয়ে দেন ইউনাইটেডের গোলকিপার রাজা। কিন্তু বলটি গোলে রাখতে পারলেন না তিনি। গোলের মুখও খোলা হল না ইউনাইটেডের। অলআউট আক্রমণ করেও গোল করতে পারনি ইউনাইটেড।ম্যাচ শেষ হয় ২-০ ব্যবধানে। কষ্টজনক জয় নিয়ে মোহনবাগান কোচ বাস্তব রায় জানালেন, সত্যিই ইউনাইটেড ভালো খেলেছে। কিন্তু আমরা জিতেছি। ছেলেদের লড়াইকে ভুলে গেলে চলবে না। মনে রাখতে হবে যে আমরা টানা খেলেছি। ‘ আর ইউনাইটেড কর্তা নবাব ভট্টাচাৰ্য জানালেন, ড্র করতে পারলেও ভালো হত। আমার ছেলেরা সারাবছর একসঙ্গে থেকে অনুশীলন করে। এটা বড় সুযোগ ছিল নিজেদের প্রমাণ করার।’ যদিও শনিবারে র মোহনবাগান মাঠ ভরেনি।এই মুহূর্তে ৭ ম্যাচে ডায়মন্ড হারবারের সংগ্রহ ১৭ পয়েন্ট। ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে মোহনবাগান। অর্থাৎ ডায়মন্ডহারবারের থেকে এক ম্যাচ কম খেলেছে সবুজ-মেরুন শিবির।