
ওঙ্কার ডেস্ক: ৪৫ দিন ধরে চলা বিশ্বের সবচেয়ে বিশাল ধর্মীয় সমাবেশ মহাকুম্ভের শেষ দিন বুধবার। শিবরাত্রিতে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান দিয়ে চলতি বছরে মেলা শেষ হবে। শেষ দিনে বিশেষ পুণ্যস্নানে সামিল হতে ইতিমধ্যে ভিড় জমিয়েছেন বহু মানুষ।
বুধবার শেষ দিনের স্নানের জন্য প্রশাসনের তরফে বিশাল ব্যবস্থা করা হয়েছে। শেষ ‘অমৃত স্নানে’ সামিল হওয়ার জন্য সোমবার থেকে পুণ্যার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন। ভিড় সামাল দিতে প্রশাসনের তরফে আঁটোসাঁটো ব্যবস্থার পাশাপাশি নিরাপত্তার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যার সময় মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে ৩০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল এবং ৬০ জনেরও বেশি আহত হয়েছিল। যার পর উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপনায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। আর যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য সজাগ প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মহাকুম্ভ মেলাতে ছয়টি বিশেষ স্নানের তিথি ছিল। যার মধ্যে তিনটি ছিল অমৃত স্নান। মহাকুম্ভের প্রথম বিশেষ স্নান শুরু হয়েছিল ১৩ জানুয়ারি পৌষ পূর্ণিমাতে, দ্বিতীয়টি হয়েছিল ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তিতে, তৃতীয়টি ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যাতে, চতুর্থ বিশেষ স্নান হয়েছিল ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে বসন্ত পঞ্চমীতে, পঞ্চম বিশেষ স্নান হয়েছিল ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমাতে এবং ষষ্ঠ বিশেষ স্নান হতে চলেছে মহাশিবরাত্রিতে অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মহাকুম্ভের শেষ দিন এবং মহাশিবরাত্রি উপলক্ষে ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘আজ ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করতে আসা সকল শ্রদ্ধেয় সাধু, সন্ন্যাসী এবং ভক্তদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই৷ তিন জগতের অধিপতি ভগবান শিব এবং পবিত্র মা গঙ্গা সকলের মঙ্গল করুক এটাই আমার প্রার্থনা। হর হর মহাদেব৷’
হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ঋগ্বেদে, কুম্ভের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়, যার অর্থ কলসি। কাহিনী অনুসারে, মহাজাগতিক সমুদ্র মন্থনের সময় দেবতা এবং অসুররা যখন অমৃত কলস নিয়ে কাড়াকাড়ি করছিল তখন অমৃতের ফোঁটা ঝরে পড়েছিল চার জায়গায়— হরিদ্বার, নাসিক, উজ্জ্বয়িনি ও প্রয়াগে।
ভিডিও দেখুন-