
ওঙ্কার ডেস্ক: বিহারে কার্যত নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চলতি বছরে রয়েছে বিহারে বিধানসভা ভোট। তার আগে তৃতীয়বার নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংসদে প্রথম বাজেটে বিহারের জন্য ঢেলে দিয়েছেন বিভিন্ন প্রকল্পে। এবার বিহারের ভাগলপুর থেকে বিরোধীদের এক হাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সোমবার ভাগলপুরের জনসভা থেকে পিএম কিসান প্রকল্পের ১৯ তম দফায় ২২ হাজার কোটি টাকা ৯.৮ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন মোদী। সেই সঙ্গে এদিন বিরোধীদের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। নাম না করে লালুপ্রসাদ যাদব এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন মোদী। কুম্ভমেলার প্রসঙ্গ টেনে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গলরাজওয়ালারা মহাকুম্ভকে নিয়ে খারাপ খারাপ কথা বলছেন। তাঁর কথায়, ‘প্রয়াগরাজে একতার মহাকুম্ভ চলছে। এটা ভারতের আস্থা ও একতার সবচেয়ে বড় মহোৎসব। পুরো ইউরোপে যত জনসংখ্যা রয়েছে, তার চেয়ে বেশি মানুষ প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে স্নান করেছেন। কিন্তু জঙ্গলরাজওয়ালারা মহাকুম্ভকে নিয়ে খারাপ খারাপ কথা বলছেন। রামমন্দিরকে নিয়ে যাঁরা সমালোচনা করেছিলেন তাঁরা মহাকুম্ভকে নিয়েও সমালোচনা করছেন।’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এদিন জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নাম না করে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবকে নিশানা করেছেন। প্রসঙ্গত সম্প্রতি মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার পর প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ মহাকুম্ভকে ‘ফালতু’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমো মহাকুম্ভকে ‘মৃত্যুকুম্ভ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁদেরকে পাল্টা জবাব দিলেন।