
ওঙ্কার ডেস্ক: সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি শেষ। রায়দান স্থগিত। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। হাইকোর্টের একটি খোঁচায় চাকরি যায় ২৫,৭৫৩ জনের। ওই নির্দেশের উপর বর্তমানে স্থগিতাদেশ রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের। সোমবার এই মামলার শুনানিতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। বিচারপতির মন্তব্য, আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আদালত কী করতে পারে, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির।
পাশাপাশি এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি খন্নার এজলাসে এ কথা জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী। সোমবার এই মামলায় প্রধান বিচারপতি সিবিআইয়ের বক্তব্য জানতে চান। তখন সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি হয়েছে। হাই কোর্টের রায় যথার্থ। ওই রায়ই বহাল রাখা হোক।”সিবিআইয়ের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, আসল ওএমআর শিট নেই। সে ক্ষেত্রে কোন ওএমআর শিটকে আসল বলে ধরে নেওয়া হবে। কত জন যোগ্য অযোগ্যকে বাছাই করা হয়েছে, এসএসসির কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি।
কিন্তু ওএমআর শিট কারচুপির তথ্য কমিশনের কাছে নেই। সে কথা শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, “সমস্যা তো এখানেই। আপনারা বলতে পারছেন না কোনটি আসল তথ্য।আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সোমবার সুপ্রিম কোর্টে জানান, যোগ্য অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব। মূল মামলাকারীদের হয়ে আইনজীবী ফিরদৌস শামিমও জানান, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম দু’টি কাউন্সেলিং এবং নবম-দশম শ্রেণির জন্য নিয়োগের ক্ষেত্রে তৃতীয় কাউন্সেলিং পর্যন্ত পদ্ধতি মানা হয়েছে। এর পরের কাউন্সেলিংগুলির সময়ে পদ্ধতি মানা হয়নি।এই পরিস্থতিতে শুনানি পর্ব শেষ হলেও এখনও পর্যন্ত রায় দান স্থগিত রয়েছে।