
ওঙ্কার ডেস্ক: নিজের পছন্দের ছেলের সঙ্গে বিয়ে না দিয়ে অন্য ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিল পরিবার। আর তার জেরে দু সপ্তাহ যেতে না যেতে প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে খুন করাল নববধূ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আউরাইয়া জেলায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই অভিযুক্তের নাম প্রগতি যাদব (২২) এবং অনুরাগ যাদব। গত চার বছর ধরে অনুরাগের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিল প্রগতি। তবে, তাদের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। জোর করে গত ৫ মার্চ দিলীপ নামের (২৫) এক যুবকের সঙ্গে প্রগতির বিয়ে দেন তাঁর বাবা-মা।
গত ১৯ মার্চ একটি মাঠ থেকে দিলীপকে গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তড়িঘড়ি তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিধুনার কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাঁকে সাইফাই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে। এরপর ২০ মার্চ ২৫ বছর বয়সী ওই যুবককে আউরাইয়া হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে একদিন পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর, নিহতের ভাই সাহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিয়ের পর দিলীপের স্ত্রী তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে পারত না। যার ফলে তার মনের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। অবশেষে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে দিলীপকে খুনের সিদ্ধান্ত নেয় তাঁরা। রামাজি চৌধুরী নামে এক ভাড়াটে খুনির সঙ্গে যোগাযোগ করে দিলীপকে খুনের জন্য একটি চুক্তি কর। এই খুনের জন্য রামাজিকে দুই লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রামাজি দিলীপকে বাইকে করে মাঠে নিয়ে যায়। তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজনকে নিয়ে যায় রামাজি। সেখানে পৌঁছানোর পর দিলীপকে মারধর শুরু করে, মারধরের ফাঁকে তাকে গুলি করে দেয়। ঘটনার পর দ্রুত মাঠ ছেড়ে তারা পালিয়ে যায়।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ইতিমধ্যে তিন অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তিন জনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তদন্তকারীরা দুটি পিস্তল, চারটি কার্তুজ, একটি বাইক, দুটি মোবাইল ফোন, একটি পার্স, আধার কার্ড এবং ৩,০০০ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছেন। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আরও অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।