
নিজস্ব প্রতিনিধি, ওঙ্কার বাংলাঃ ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়েদের বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাড দেওয়ার জন্য সরকারকে নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। এই দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন সমাজ কর্মী জয়া ঠাকুর। আগামীকাল সোমবার মামলার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিবিশন বেঞ্চে। মামলা শুনবেন, প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।
প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বর মাসে সমাজ কর্মী জয়া ঠাকুরের আইনজীবী বরিন্দর কুমার শর্মা এবং আইনজীবী বরুণ ঠাকুর সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেছিলেন। আবেদনকারী দেশের সর্বচ্চ আদালতে জানান, দরিদ্র পরিবার থেকে আসা ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোরী মেয়েরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এই কিশোরী মেয়েদের বেশীভাগ ক্ষেত্রে মাসিক এবং মাসিকের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে পারিবারিক শিক্ষা থাকে না। যার ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। অকালেই গুরুতর রোগের শিকার হয়। মারাও যায় বেশ কয়েক জন। সংবিধানের ৩২ নং ধারার অধীনে পড়ুয়া মেয়েদের বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাড দেওয়ার বিষয়টি আনার আবেদন জানান সমাজ কর্মী জয়া ঠাকুর। পাশাপাশি সমস্ত সরকারী, সাহায্যপ্রাপ্ত এবং আবাসিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের জন্য পৃথক টয়লেটের।
উল্লেখ্য, আবেদনের ভিত্তিতে গত জানুয়ারি মাসে শীর্ষ আদালত কেন্দ্র সরকারকে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি এবং একটি জাতীয় মডেল তৈরির নির্দেশ দেন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি স্কুলে পড়ুয়া মেয়েদের মাসিক স্বাস্থ্যবিধি পরিচালনার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করার।
গত ১০ এপ্রিল, সাবাল জবাবের পর সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষেণ, কেন্দ্রের উচিত সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের সাথে স্কুলগুলিতে মাসিক স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনার উপর একটি জাতীয় নীতি বাস্তবায়ন করার। জাতীয় নীতি প্রণয়নের জন্য ডেটা সংগ্রহের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সচিবকে নোডাল অফিসার হিসাবে নিয়োগ করেছিল আদালত।
আগামীকাল ২৪ জুলাই ৬ থেকে ১২ ক্লাসের মেয়েদের বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাডের আবেদন সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে। মামলা শুনবেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিবিশন বেঞ্চে। নোডাল অফিসার তাদের সংগ্রহ করা ডেটা জমা দেবেন আদালতে।