
সুমিত চৌধুরী:
দিল্লি এবং পাটনার রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন নীতিশ কুমার ফের মহাকাট বন্ধন থেকে বেরিয়ে-তে যাচ্ছেন। মুখে নিতিশে দলের নেতারা মহাগাঠ বন্ধন ঠিকঠাক আছে বললেও
ভেতরে ভেতরে মেঘ ঘনাচ্ছে।
নীতিশ কুমার তার নিজের বাড়িতে জেডিইউ বিধায়কদের বৈঠক ডেকেছেন। অন্যদিকে পাল্টা প্রস্তুতি নিচ্ছে লালু প্রসাদের শিবির।
এখন অব্দি বিধানসভায় আসন বিন্যাসের যা অবস্থা লালুপ্রসাদ যাদব কংগ্রেস এবং বামপন্থীদের মোট মা আসন সংখ্যা তার সঙ্গে আর মাত্র আট জন বিধায়ককে পেলেই সরকার টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে। বিহারে ক্ষমতায় থাকতে গেলে বিধানসভায় ১২২ জন বিধায়ক ই যথেষ্ট। পাটনার রাজনৈতিক মহলের খবর লালুর দল জিতেন রাম মাঝি এবং অন্যান্য নির্দলদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। লালুর-শিবিরের আশা ওয়াইসির দলও তাদের সমর্থন করবে।
সম্প্রতি মোদি বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পুরী ঠাকুরকে মরণোত্তর ভারত রত্ন দেওয়ায় মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন।
পাল্টা প্রশস্তি করেন মোদিও।
এরপরেই দ্রুত পথ পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।
কিন্তু নিতীশ কুমার যদি বিজেপির হাত ধরেন তাহলে দলের সাংসদরা তার সঙ্গে থাকলেও বিধায়করা কতজন থাকবেন শেষ অবধি সন্দেহ রয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের অনুমান সেক্ষেত্রের আলুপ্রসাদ যাদবরা নীতিশের বিধায়ক দলে ভাঙন ধরিয়ে দিতে পারবেন। নীতিশ কুমার নিজেও সেটা বিলক্ষণ জানেন। সেই জন্য জল মাপছেন।
তবে নিতীশ কুমার যদি বিহারে মহা কাঠবন্ধন ছেড়ে বেরিয়ে যান তাহলে ইন্ডিয়া ব্লকে সেটা একটা ধাক্কা হবে কোন সন্দেহ নেই।
কারো রীতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের অবস্থা ভালো নয়। মমতা ব্যানার্জি জানিয়ে দিয়েছেন তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতায় এ রাজ্যে যাচ্ছেন না।
অন্যদিকে পাঞ্জাবে আপ এবং কংগ্রেসের মধ্যে সমঝোতা হচ্ছে না।
সব মিলিয়ে বিরোধী শিবিরের অবস্থা খুব একটা এখনো পর্যন্ত ভালো বলে মনে হচ্ছে না। যদিও কংগ্রেস মুখাপাত্র জয়রাম রমেশ বলেছেন শেষ অবধি মতপার্থক্য যতটা সম্ভব মিটিয়ে ফেলা হবে।