
ওঙ্কার ডেস্ক: নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে যাত্রীদের অত্যধিক ভিড়ের চাপে পদপিষ্টের ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যু হল। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ১১ জন মহিলা এবং পাঁচ জন শিশু। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে কুম্ভমেলা যাওয়ার উদ্দেশে নয়াদিল্লি রেল স্টেশনে ভিড় জমিয়েছিলেন পুণ্যার্থীরা। সেই সময় এই ঘটনা ঘটে।
রেল সূত্রের খবর, কুম্ভমেলা যাওয়ার দুটি ট্রেন দেরি করে। এদিকে প্ল্যাটফর্মে ক্রমে বাড়তে থাকে ভিড়। ১৪ ও ১৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। কিন্তু কী কারণে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটল? এ বিষয়ে রেল পুলিশের ডিসি বলেন, ‘প্রয়াগরাজ এক্সপ্রেস ১৪ নম্বর স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল। স্টেশনে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল সেই সময়ে। স্বতন্ত্র সেনানি এক্সপ্রেস এবং ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস দেরিতে ছিল। তাই ওই দুই ট্রেনের যাত্রীরাও ১২, ১৩ এবং ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। জেনারেল টিকিট বিক্রি হয়েছে ১৫০০। সেই কারণেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।’
অন্যদিকে এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর। রেলের তরফে নিহতদের পরিবারককে এবং আহতদেরকে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে রেল। মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর জখমদের আড়াই লক্ষ টাকা এবং যাঁদের আঘাত সামান্য, তাঁদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।