
নিজস্ব প্রতিনিধি, ওঙ্কার বাংলা: পয়লা বৈশাখকে সরকারি ভাবে ‘রাজ্য দিবস’ হিসেবে নির্ধারণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। নববর্ষের প্রথম দিন মঙ্গলবার পর পর নতুন বছর এবং ‘বাংলা দিবসের’ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। আর যা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মঙ্গলবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘’এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ…’ শুভ নববর্ষ ১৪৩২! নতুন বছরের পুণ্য আলোর দ্যুতিতে আলোকিত হোক সকলের জীবন। শান্তি ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকুক বাংলার প্রতিটি মানুষ। সবাইকে শুভনন্দন।’ এর পরেই পৃথক আরেকটি পোস্টে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ‘বাংলা দিবসের’ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘’আমি বাংলায় গান গাই…’ ‘বাংলা দিবস’ – এ সকল নাগরিককে জানাই শুভনন্দন এবং ছোট ছোট ভাইবোনেদের জানাই অনেক শুভেচ্ছা। আরও বিকশিত হোক রাজ্যের ঐতিহ্যময় সংস্কৃতি, আরও সুদৃঢ় হোক রাজ্যবাসীর ভ্রাতৃত্ব-বন্ধন।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ‘বাংলা দিবসের’ শুভেচ্ছা নিয়ে ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রীর পোস্ট শেয়ার করে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, ‘রোম যখন পুড়ছিল, সম্রাট নিরো তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন! রাজ্যে যখন সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন জ্বলছে, আপনিও গান গাইবেন সেটাই স্বাভাবিক… তবে গানের সুরটা বেসুরো হয়ে গেলো! নাগরিকদের ‘শুভনন্দন’ জানানোর আগে যে সকল ‘বরাহ-নন্দন’ দাঙ্গা করছে, সরকারি সম্পত্তি পোড়াচ্ছে, খুন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে রাজ্যে নাগরিকরা নিজেদের সুরক্ষিত মনে করতো।’
সেই সঙ্গে পয়লা বৈশাখে রাজ্য দিবস পালন করা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, আগামী বছর ২০ জুন ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করা হবে। উল্লেখ্য, বিজেপি আগে থেকেই ২০ জুন দিনটিকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে পালন করার পক্ষে। বেশ কয়েক বার গেরুয়া শিবির এই দিনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনও করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে ইতিহাস মুছে ফেলার অভিযোগ করেছেন তিনি। ২০ জুন রাজ্য দিবস পালনের পিছনে বিজেপির যুক্তি, ১৯৪৭ সালের এই দিনে বঙ্গীয় প্রাদেশিক আইনসভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছিল। যার পিছনে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকা ছিল।