
ওঙ্কার ডেস্ক: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আগেই নির্দেশ দিয়েছিল শ্রমিকদের দিয়ে ম্যানহোল পরিস্কার করা যাবে না বলে। এবার দেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও এই বিষয়ে তৎপর হল। হাত দিয়ে বর্জ্য পরিষ্কার করার প্রথা বন্ধ করার জন্য সমস্ত রাজ্যকে আর্জি জানিয়েছে কমিশন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সমস্ত মুখ্যসচিব এবং প্রশাসকদের কাছে একটি চিঠিতে ২০২৩ সালের ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জারি করা ১৪টি নির্দেশ অবিলম্বে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে বলেছে। (ডঃ বলরাম সিং বনাম ভারত ইউনিয়ন, ২০২৩)। যার লক্ষ্য বিপজ্জনক নর্দমা হাত দিয়ে পরিষ্কার করা এবং বর্ণ-ভিত্তিক প্রথা দূর করা। কমিশন বলেছে যে এই অনুশীলন মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন, বিশেষ করে মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকার অধিকার এবং আইনের চোখে সমান অধিকারের।
কমিশন পর্যবেক্ষণ করেছে, সাংবিধানিক ও আইনি সুরক্ষা থাকা সত্ত্বেও হাত দিয়ে বর্জ্য পরিস্কার অব্যাহত রয়েছে। এমনকি গত ২৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট দেশের ছয়টি প্রধান শহর – যেমন দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদে হাত দিয়ে বর্জ্য পরিস্কারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা সত্ত্বেও, দেশের কিছু অংশে বিপজ্জনক বর্জ্য হাতে পরিষ্কার করার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একাধিক পদক্ষেপ অবিলম্বে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, ঠিকাদার এবং সাধারণ মানুষ-সহ স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এবং প্রাসঙ্গিক বিচার বিষয়ক নির্দেশনার ব্যাপক প্রচার।সরকারি কর্মকর্তা, সাফাই কর্মীদের মধ্যে হাত দিয়ে পরিষ্কারের আইনি, সামাজিক এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে সংবেদনশীলতা কর্মসূচি নেওয়া। রিয়েল-টাইম কমপ্লায়েন্স এবং প্রতিকার নিশ্চিত করার জন্য শক্তিশালী পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এছাড়া বিষয়টির অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ, বাস্তবায়নে কোথায় ফাঁক তৈরি হচ্ছে সে সব বিশয়গুলি চিহ্নিত করে সমস্ত স্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আট সপ্তাহের মধ্যে একটি পদক্ষেপের রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে কমিশন।