
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ গত কয়েকদিন ধরেই ডামাডোল বিহার রাজনীতিতে। সম্ভবত আজই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। পাটনা থেকে দিল্লি, এখন একটাই কথা, ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী না হতে পেরে গোঁসা নীতীশের! জেডিইউর সূত্র জানা গিয়েছে শনিবারই রাজ্যপাল রাজেন্দ্র অরলেকরের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফা দিতে পারেন নীতীশ।
আগামী ২৮ জানুয়ারি বিজেপির সঙ্গে জোটে নতুন সরকার গড়ারও দাবি জানাবেন তিনি। এই নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় রাজনীতিতে শুরু তরজা। তবে কী ফের একবার এনডিএ শিবিরে ফিরছে নীতীশের জেডিইউ। এই নিয়ে তোলপাড় বিহারের রাজ্য রাজনীতি। পাটনায় দলীয় বৈঠকে বসে বিজেপি, জেডিইউ ও বর্তমানে বিহারের বৃহত্তম দল আরজেডি।
সকাল ১০ টায় নীতীশের নেতৃত্বে বৈঠকে বসেছিল জেডিইউ। অন্যদিকে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে লালুর বাসভবনে বৈঠকে বসেছিল আরজেডি। বৈঠক শেষে জেডিইউ তরফ থেকে সমর্থন প্রত্যহারের ঘোষণা আরজেডি তরফে। পাশাপাশি বিকেল ৪টের সময় পাটনায় বৈঠকে বসতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্বে, এই আলোচনাতে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে এলজেপি সভাপতি চিরাগ পাসওয়ান।
পদ্ম শিবিরের বিধায়ক সংখ্যা ৭৮। এনডিএ সমর্থিত হিন্দুস্থান আওমি মোরচার রয়েছে ৪ জন বিধায়ক। নীতীশের রয়েছে ৪৫ জন বিধায়ক। সহজেই ম্যজিক ফিগার ২২৩ ছুয়ে ফেলতে পারবে বিজেপি নীতীশ জোট। এর মধ্যেই জানা যাচ্ছে বহু জেডিইউ বিধায়কের ফোন বন্ধ, আবার কংগ্রেসের ১৯ জন বিধায়কের মধ্যে ১০ থেকে ১১ জন বিধায়ক জেডিইউ শিবিরে যোগ দিতে পারেন বলে জেডিইউ তরফে দাবি। কার্যত সব মিলিয়ে শেষ পর্যন্ত বিহারের মসনদে নতুন করে কাদের সরকার হবে তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।