
ওঙ্কার ডেস্ক:বৃহস্পতিবার “এক দেশ, এক নির্বাচন” প্রস্তাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সবুজ সঙ্কেতের পর সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই এই বিল পেশ করতে চলেছে কেন্দ্র। ‘এক দেশ, এক ভোট’ চালু করার জন্য বুধবারও জোরদার সওয়াল করেছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। তার দাবি দেশে বারবার ভোট হওয়ার কারণে দেশের উন্নতিমুইলক কাজে খুব সমস্যা হয়। “এক দেশ, এক নির্বাচন” এই বিলের পক্ষে কেন্দ্রীয় সরকার বারবার যুক্তি দেখিয়েছে যে কেন্দ্রের ভোট ও বিভিন্ন বিধানসভা, পৌরসভা ও পঞ্চায়েতের ভোটের সময় আলাদা হওয়ায় প্রচুর পরিমানে অর্থ ব্যায় হয় এবং সরকারী কর্মীরাও এক বড় সময়ের জন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়ে যার জেরে থমকে থাকে বিভিন্ন সরকারী কাজও এছাড়াও বারবার ভোট হলে সাধারণ মানুষ ও অনেক সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং নিজের ভোট কেন্দ্রের বাইরে থাকা মানুষেরা সঠিক ভাবে ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারে না।
এই প্রস্তাব কতটা কার্যকারী হবে তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় সরকার, যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। মার্চ মাসে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই প্রস্তাব গ্রহন করলে তা সুস্থ ভোট ও উন্নতি মুলক কাজে যথেষ্ট লাভজনক হবে। বিরোধীদের পাল্টা যুক্তি, এই নীতি আসলে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিপন্থী। এবং একসাথে এত গুলো স্তরে ভোট হলে দুর্নীতি হওয়ার আশঙ্কাও বেশী এবং এই নীতির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো একটি ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে বলে মনে করছেন বিরোধী নেতৃত্বরা। এই বিলটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের চর্চা হতে পারে— তা আঁচ করেই বিলটি খতিয়ে দেখতে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে (জেপিসি) পাঠানোর কথাও ভাবছে তারা। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে একটি ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা করতে পারে কেন্দ্র। এই আবহে শীতকালীন অধিবেশনে এই বিল নিয়ে চরম উত্তেজনার আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।