
ওঙ্কার ডেস্ক : পহেলগামে জঙ্গি হামলায় আহতদের সঙ্গে দেখা করলেন রাহুল গান্ধী। শুক্রবার দিল্লি থেকে শ্রীনগর পৌঁছেই সোজা চলে যান বিবি ক্যান্ট হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু খোঁজখবরও নেন।
জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর নৃশংস জঙ্গি হামলার পর কেন্দ্রের যে কোনো কড়া পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দল নেতা রাহুল গান্ধী। এই জঙ্গি হামলায় দেশ জুড়ে যে নিন্দা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তাকে গুরুত্ব দিতে রাহুল প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, যা অ্যাকশন নেওয়া নিন। বিভিন্ন রাজ্য থেকেও কংগ্রেস নেতারা এই জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাত চাইছেন।
শুক্রবার সকাল থেকে ভূস্বর্গে সেনা তৎপরতা আরও বাড়ানো হয়েছে। কাশ্মীর জুড়ে এখন কার্যত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে চলেছে যুদ্ধের মহড়া। বেছে নেওয়া হয়েছে থর মরুভূমিকে। চরম প্রত্যাঘাত যে শুধু সময়ের অপেক্ষায় তেমন একটা আবহ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই কূটনৈতিক স্তরে পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। সূত্রের খবর পাকিস্তানের সমস্ত ভিসা বাতিল করে দেওয়া হবে। যতদূর জানা যাচ্ছে, বাতিল করা হবে মোট ১৭ ধরনের ভিসা। সন্ত্রাসবাদ নির্মুল করতে যোগ্য পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তিনি জানিয়েছেন, “শাস্তি পাবে। শাস্তি হবেই হবে”। সন্ত্রাসবাদকে তিনি ধুলায় মিশিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। তাঁর কথায়, “এবার সন্ত্রাসবাদীদের বেঁচে থাকা জমিটুকুও মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের ইচ্ছাশক্তি এবার সন্ত্রাসবাদীদের কোমর ভেঙে দেবে।’
এর আগেই দিল্লি নির্দেশ দেয়, সব পাকিস্তানিরা ভারতে রয়েছেন, তাদের অবিলম্বে বেরিয়ে যেতে হবে। ঘোষণার পরপরই শুরু হয়েছে পাকিস্তানিদের ফিরে যাওয়া। গত বুধবারই ভারত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। জানিয়েছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে পাকিস্তানি নাগরিকদের। বন্ধ করে দেওয়া হয় আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত। এছাড়াও বলা হয়, ভারত থেকে যাঁরা বৈধ নথিপত্র নিয়ে পাকিস্তান গিয়েছেন, তাঁদের দেশে ফিরতে হবে ১ মে-র মধ্যে। কোনও পাকিস্তানি নাগরিক আর ভারতে আসতে পারবেন না। পাকিস্তানি নাগরিকরা পাবেন না ভারতের ভিসা। আর এবার ১৭ ধরনের ভিসা বাতিলার সিদ্ধান্ত নিল ভারত। ইতিমধ্যেই দিল্লি জানিয়েছে, SAARC ভিসা নিয়ে আর এদেশে আসা যাবে না। যে সমস্ত পাকিস্তানি নাগরিককে SPES ভিসা দিয়েছিল ভারত, তা বাতিল বলে গণ্য হবে। এছাড়া ভারতে থাকা পাকিস্তানের কূটনীতিকদেরও এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে।