
স্পোর্টস ডেস্ক :পাকিস্তান ক্রিকেট দল। যে দলকে নিয়ে চলে না কোনও ভবিষ্যদ্বাণী। নিজেদের দিনে মহাশক্তিধর দলকে হেলায় উড়িয়ে দেবে। আবার ক্রিকেটের ‘শিশু’ আমেরিকার কাছে হেরে বসবে। যেমনটা হল ডালাসে নাসাই কাউন্টির বাইশ গজে। টি২০ বিশ্বকাপে সুপার ওভারে আয়োজক আমেরিকার কাছে হেরে বসল পাকিস্তান।
টস জিতে শুরুতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল আমেরিকা। বাবররা তোলেন ১৫৯/৭। অধিনায়ক বাবর (৪৪), শাদাব খান (৪০) ছাড়া শেষের দিকে দলের রানকে ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে যান পেসার শাহিন আফ্রিদি (২৩) ও ইফতিকার আহমেদ (১৮)। আমেরিকার সফল বোলার নসটুশ কেনজিগে। তিনি তিন উইকেট নেন। নেত্রাভালকার পান দুই উইকেট। জবাবে আমেরিকাও ২০ ওভারে তুলে ফেলে ১৫৯/৭। অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল করেন ৫০। আন্দ্রিস গাউস করেন ৩৫। অ্যারন জোনস অপরাজিত থাকেন ৩৬ রানে। নীতীশ কুমার করে যান ১৪খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। আমেরিকা তুলেছিল ১৮ রান। মহম্মদ আমির তিনটি ওয়াইড করে পাকিস্তানের সুবিধা করে দেন। জবাবে পাকিস্তান তোলে ১৩। পাঁচ রানে হার পাকিস্তানের। বাবরদের হয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন ফখর জামান এবং ইফতিকার আহমেদ। সৌরভ নেত্রাভালকরের দ্বিতীয় বলে চার মারেন ইফতিকার। কিন্তু তৃতীয় বলে আউট হয়ে যান। দুরন্ত ক্যাচ ধরেন নীতীশ কুমার। নামেন শাদাব খান। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। ম্যাচের সেরা হন আমেরিকার অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে হতাশ হয়ে পাক অধিনায়ক বাবর আজম বললেন,’ব্যাট করার সময় প্রথম ৬ ওভারে আমরা বড় রান তুলতে পারিনি। একের পর এক উইকেট যায়। সেখানেই পিছিয়ে পড়ি আমরা। আমাদের জুটি গড়তে হত। বল হাতেও আমরা পাওয়ার প্লে-তে ভাল খেলতে পারিনি। আমাদের স্পিনারেরা মাঝের ওভারে উইকেট নিতে পারেনি। ফলে হারতে হল আমাদের।এই হার হজম করা কঠিন। আমেরিকাকে কৃতিত্ব দিতে হবে। ওরা আমাদের থেকে বেশি ভাল খেলেছে। তিন বিভাগেই আমাদের হারিয়ে দিয়েছে ওরা। পিচে আর্দ্রতা ছিল। বল কোনওটা জোরে যাচ্ছিল, কোনওটা ধীরে। তবে পেশাদার হিসাবে সব পরিস্থিতির সঙ্গেই মানিয়ে নিতে হয়।”