
ওঙ্কার ডেস্ক: কাজাখস্তানের পর এবার দক্ষিণ কোরিয়া – এক সপ্তাহের মধ্যে ফের এক বিমান দুর্ঘটনা। রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ার সংস্থার বিমানটি ব্যাঙ্কক থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান শহরে আসছিল। মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে। মাটি ছোঁয়ার ঠিক আগে রানওয়ের উপরেই বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারান পাইলট এবং বিমানবন্দরের দেওয়ালে গিয়ে ধাক্কা মারে বিমানটি। সংঘর্ষের পরেই আগুন ধরে যায় বিমানে।স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, বিমানে থাকা ১৮১ জনের মধ্যে ১৭৯ জনই মারা গিয়েছেন। যাত্রীদের মধ্যে দুজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁরা দুজনেই বিমানকর্মী। ওই বিমানে থাইল্যান্ডের দুজন নাগরিকও ছিলেন।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, তদন্তকারী দলের অনুমান বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা হওয়ায় রানওয়ের উপরে বিমানটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি পাইলট – যার জেরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে দুর্ঘটনার কারণ আরও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল। গত ২৫ ডিসেম্বর আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান রাশিয়ার দিকে যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ে কাজাখস্তানের উপর। জরুরি অবতরণের চেষ্টাও করেছিলেন পাইলট, কিন্তু বিমান তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকেনি যার জেরে মুখ থুবড়ে পড়ে বিমানটি। ওই বিমানে ৬৭ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২৯ জনকে। তবে এদিনের ঘটনায় প্রায় সমস্ত যাত্রীই মৃত এবং যে দুজনকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের অবস্থাও অত্যন্ত সঙ্কটজনক।