
ওংকার ডেস্ক: মন্ত্রিসভার একাংশের বিরুদ্ধে তোপ ডেকে ফের রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্ক টেনে আনলেন বির্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, দিদি আছে বলে আছি, না হলে থাকতে ইচ্ছা করে না। মমতার ছায়াসঙ্গী কয়েকজন মন্ত্রীর হাবভাবে তিনি যে যারপরনাই বিরক্ত তা তাঁর কথায় অস্পষ্ট থাকেনি। তিনি বলেন, দলের খারাপ সময়ে এইসব মন্ত্রীদের দেখতে পাওয়া যায় না। এই প্রসঙ্গে তিনি আর জি কর-এর প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন। ওই ইস্যুতে দলের পক্ষে মুখ খোলায় তাঁকে বহু কথা শুনতে হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কল্যাণ বলেন, আরজিকর কাণ্ডে তিনি এবং কুনাল ঘোষ ছাড়া আর কাউকে দলের হয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। তাঁর প্রশ্ন, তখন এঁরা কোথায় ছিল।
রাজ্যের কোন কোন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলের এই বর্ষীয়ান নেতা তাঁর ক্ষোভ উগরে দিলেন তা অবশ্য খোলসা করেননি। তাই তাঁর নিশানায় কারা রয়েছেন সে বিষয়েও এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে তাঁর এ ধরণের মন্তব্যে ইতিমধ্যেই শোরগোল উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। মুখ খুলছেন বিরোধীরা।
এর আগেও রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে বহুবার বিভিন্ন ইস্যুতে তোপ দেগে বিতর্কে জড়িয়েছেন এই বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ। গত নভেম্বরেই তিনি দলের কিছু নেতার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, দল ছেড়ে বুলি আওড়ানোর কথা।। এমন কি এও বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বাদ দিয়ে ভোটে দাঁড়াক, তারপর দেখব। বিচারাধীন নেতাদের বিরুদ্ধেও সামোলচনা করতে ছাড়েননি তিনি। শুধু রাজ্য রাজিনীতি নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও তিনি নানান সময়ে নানান রঙ্গ রসিকতা করে বিতর্কে জড়িয়েছেন। তাই ইস্যুটিকে হাল্কা করতে কেউ কেউ এখন বলতে শুদু করেছেন, এটা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতির স্টাইল। বেশিদিন তিনি প্রচারের বাইরে থাকতে পারেন না।