
ওঙ্কার ডেস্কঃ প্রয়াগ যাত্রা নিয়ে আমজনতার ভাবাবেগকে কাজে লাগাতে রাজনীতিতে এখন অধুনা অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে মহাকুম্ভ। একে অপরকে কটাক্ষ করতে কুম্ভস্নানের পরামর্শ দিচ্ছেন নেতারা। এ বিষয়ে কয়েকধাপ এগিয়ে গেরুয়া শিবির। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্ এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দুজনেই মহাকুম্ভকে টেনে এনেছেন জাতীয় রাজনীতিতে। উত্তরপ্রদেশের মিল্কিপুর আসনে উপনির্বাচনের প্রচারে যোগী আদিত্যনাথ বিরোধীদের নিশানা করতে গিয়ে মহাকুম্ভকে হাতিয়ার করেছেন। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবকে কটাক্ষ করে বলেছেন, প্রয়াগরাজে পবিত্রস্নানই বাঁচাতে পারে বিরোধীদের। দিল্লির বিধানসভা নির্বাচিনের আগে একই ভাবে আপ নেতা কেজরিওয়ালকে ঠুকেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিতা শাহ্ও। ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের দিনই কুম্ভে শাহিস্নান সারবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এতে যেমন দিল্লির ভোটদান নিয়ে মিডিয়ার চোখ প্রয়াগে টানা যাবে, তেমনি হিন্দু ভাবাবেগও বিজেপির প্রতি সহানুভুতিশীল হবে।
এদিকে, ওয়াকিবলা মহলের ধারণা, মহাকুম্ভের যাবতীয় কৃতিত্ব প্রায় একাই নিতে চাইছেন যোগী। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ২০২৯ সালে দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকতে মহাকুম্ভের মতো এত বড় হিন্দু আবেগকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে চাইছেন। এরজন্যি কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তিনি কুম্ভের ধারেকাছেও ঘেঁষতে দেননি। জাতীয় রাজনীতিতে দৃষ্টি আকর্ষণের ক্ষেত্রেও তিনি টেনে আনছেন কুম্বকেই।
রাজনীতির এই কলাকৌশলের মধ্যে অবশ্য এখন মাথায় হাত বহু পুণ্য আকাঙ্ক্ষীর। ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যা, এদিন চটজলদি প্রয়াগরাজে যাবার জন্য অনেকেই বিমানযাত্রা বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু রাতারাতি সেই বিমানভাড়া বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজারে।