
ওঙ্কার ডেস্ক: গত দু বছর আগে অর্থাৎ ২০২৩ সালে চিনকে ছাপিয়ে ‘বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ’-এ পরিণত হয়েছে ভারত। ২০২৫ সালের শেষেও বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ থাকবে ভারত। সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের জনসংখ্যা বিষয়ক দফতর ইউএনএফপির রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতের জনসংখ্যা ১৪৬ কোটিতে পৌঁছোবে চলতি বছরে।
উল্লেখ্য, ভারতে সরকারি ভাবে জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। তার পর আর ভারতে জনগণনা হয়নি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে ২০২৩ সালে প্রকাশ করা পরিসংখ্যানে উঠে আসে জনসংখ্যার নিরিখে ভারতের শীর্ষস্থান দখল করার বিষয়টি। সেই সময় ভারতের জনসংখ্যা ছিল ১৪২ কোটির সামান্য বেশি।
তবে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ স্থানে থাকলেও সামগ্রিক ভাবে ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্টে এমনই বলা হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রজনন ক্ষমতা কমার বিষয়ে। ভারতীয় মহিলারা প্রয়োজনের তুলনায় কম সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমার প্রবণতা শুধু ভারত নয়, এই প্রবণতা গোটা বিশ্বের বলে আগেই জানিয়েছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি জানিয়েছিল, বিশ্বের জনসংখ্যা ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটিতে পৌঁছোতে, অর্থাৎ ১০০ কোটি বাড়তে সময় লেগেছে ১২ বছর। কিন্তু ৮০০ থেকে ৯০০ কোটিতে পৌঁছোতে, অর্থাৎ পরবর্তী ১০০ কোটি বাড়তে সময় লাগবে সাড়ে ১৪ বছর। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে গোটা বিশ্বেই জন্মহার কমেছে।