
ওঙ্কার ডেস্ক: পুণে ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত অবশেষে ধরা পড়ল পুলিশের জালে । ঘটনার ৩ দিনের মাথায় শিরুর তেহশিল এলাকা থেকে অভিযুক্ত দত্তাত্রেয় রামদাস গারেকে গ্রেফতার করল পুণে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, আগেও একাধিক অপরাধ সংগঠিত করার অভিযোগ রয়েছে এর বিরুদ্ধে। পুলিশের খাতায় দাগী আসামি হিসেবে চিহ্নিত সে।
পুণেতে সরকারি বাসে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর থেকে মহারাষ্ট্রের শিরুর এলাকার একটি খামারে লুকিয়ে ছিল সে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই খামারে হানা দেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার সকালে তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রথমে গোটা এলাকাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। তার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত দু’দিন ধরে অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। ওই ঘটনার পর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে পুণে পুলিশ। ঘটনার পর অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশিতে নামে পুলিশের ১৩টি দল। আনা হয় স্নিফার ডগও। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তের বাড়ির কাছের আখখেতে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালান তদন্তকারীরা। এমন কি, কেউ এই অভিযুক্তের সন্ধান দিতে পারলে তাকে এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করে পুণে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৬টা থেকে ৬টার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তিনি যখন বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সেই সময় এক ব্যক্তি তাঁর কাছে আসেন। তাঁকে ‘দিদি’ বলে সম্বোধন করে কথা বলা শুরু করে। কোন বাসে তিনি উঠতে চান সে বিষয়ে জানতে চান অভিযুক্ত। এরপর বাস ডিপোয় থাকা একটি ফাঁকা বাসে উঠতে বলেন অভিযুক্ত। সে জানায় ওই বাসটি ছাড়বে। এরপর নির্যাতিতা বাসে উঠলে সেই ফাঁকা বাসের মধ্যে দরজা বন্ধ করে তাঁকে ধর্ষণ করে।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালে একটি ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে পাঁচ-ছয় মাস জেল খেটেছে সে। ২০১৯ সালে ঋণ নিয়ে একটি গাড়ি কিনেছিল সে। সাহায্য করার নামে সেই গাড়িতে বয়স্ক মহিলাদের তুলে নিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা লুঠ করত।