
নিজস্ব প্রতিনিধি, ওঙ্কার বাংলা : সারাদেশে সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে ব্যাপক গরমিল, বিরোধীদের আনা এই ইস্যুতে মঙ্গলবারও অধিবেশনের প্রায় শুরু থেকেই উত্তাপ ছড়ালো রাজ্যসভায়। এ বিষয়ে কেন্দ্র আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরই বিক্ষোভে সামিল হয় তৃণমূল, বিজেডি-সহ বিরোধী দলের সাংসদেরা। শেষ পর্যন্ত বিরোধীরা রাজ্যসভা ওয়াকআউট করেন। সোমবারও এপিক নিয়ে আলোচনা চেয়ে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছিল বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলি এদিন এপিক নিয়ে আলোচনার জন্য দাবি জানান। কিন্তু এ বিষয়ে বিতর্কে রাজি হচ্ছে না কেন্দ্র, এমনই অভিযোগ আনেন বিরোধীরা। মঙ্গলবার পরিস্থিতি না বদলানোয় রাজ্যসভা থেকে ফের ওয়াক আউট করলেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, একই এপিক নম্বরে একধাকি ভোটারের ইস্যুটি প্রথম সামনে আনেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর সেই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস-সহ ‘ইন্ডিয়া’র একাধিক বিরোধী দল। সোমবার এই বিষয়ে সরব হতেই কংগ্রেস সভাপতি খড়্গের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার পর বাম দল বাদে সমস্ত বিরোধী সাংসদ কক্ষ ত্যাগ করেন। সেই দলে ছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীও।
সোমবার থেকে সংসদে শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। প্রথম দিন থেকেই বিরোধীরা এপিক ইস্যুতে কেন্দ্রকে কোনঠাসা করার পথে নেমেছেন। এ ক্ষেত্রে বিরোধী জোটের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা নিতে দেখা গেল তৃণমূলকে। তার পর বাকি বিরোধী দলগুলিও এপিক নিয়ে আলোচনার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব রাখে। এপিক ইস্যুতে বাংলার রাজনৈতিক ময়দানে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে তৃণমূল। সম্প্রতি তৃণমূলের সাংগঠনিক সমাবেশে প্রথম ভূতুড়ে ভোটারের ইস্যুটি তোলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে ভোটার তালিকার এই গরমিল খতিয়ে দেখারর নির্দেশ দেন দলের সর্বস্তরের নেতাকে। তৃণমূলের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় ভিন্রাজ্যের ভোটারদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগের তির নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপির দিকে। কমিশনের রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে তৃণমূল। বিতর্ক দানা বাঁধায় ইতিমধ্যে খানিকটা হলেও বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন।