
ওঙ্কার ডেস্ক : ধনকুবের রতন টাটার সম্পত্তি বাঁটোয়ারা উইলে মোহিনীমোহন দত্ত নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে আসায় কৌতুহল জাগিয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যে, আলোড়িত হচ্ছে গোটা শিল্পজগত। দানা বাঁধছে বিরোধও। ফলে শিল্পপতির সম্পত্তির বণ্টন নিয়ে জলঘোলা হতে পারে, এমন মনে করছে রতন টাটার ঘনিষ্ঠরা। তবে এটা জানা যাচ্ছে, শিল্পপতির সঙ্গে মোহিনীমোহনের অন্তরঙ্গতা প্রকাশ্যে না এলেও তিনি ছিলেন টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন কর্মী এবং প্রয়াত শিল্পপতির আস্থাভাজন।
গত বছর ৯ অক্টোবর শিল্পপতি রতন টাটার প্রয়াণের পর তাঁর ব্যক্তিগত সম্পত্তির মালিক কে হবেন, তা নিয়ে দেশজুড়ে কৌতূহল তৈরি হয়। কারণ, টাটা সাম্রাজ্যের প্রয়াত অধীশ্বরের কোনও উত্তরাধিকারী ছিল না। অথচ ধনপতির সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা। পরে জানা যায়, মৃত্যুর আগে রতন টাটা স্বয়ং তাঁর সম্পত্তির কে কত পাবেন সে বিষয়ে আগেই উইল করে গেছেন। সেই ইচ্ছাপত্র প্রকাশ্যে আসার পর জানা যায় কার জন্য কী রেখে গিয়েছেন রতন টাটা। দেখা যায়, পোষ্য, সহচর, রাঁধুনিও তাঁর উইল থেকে বাদ পড়েননি। টাকা রেখে গিয়েছেন জনহিতকর কাজের জন্যও।
কিন্তু সম্প্রতি সেই উইলে মোহিনীমোহন দত্ত নামে এক ব্যক্তির নাম প্রকাশ্যে আসায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে। সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিক টাইম্স’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জামশেদপুরের ‘স্ট্যালিয়ন ট্র্যাভেল এজেন্সি’ নামে একটি ভ্রমণ সংস্থার মালিক ছিলেন মোহিনীমোহন। তার আগে তিনি টাটা তাজের হয়েও কাজ করেছেন। পরে তাজের ভ্রমণ বিভাগের সঙ্গে মিলে কাজ করত মোহিনীমোহনের ওই সংস্থা। টাটা ক্যাপিটাল পরে ওই সংস্থাটিকে অধিগ্রহণ করে এবং পরে টমাস কুকের কাছে ব্যবসা বিক্রি করে দেয়। তবে এখনও মোহিনীমোহন সেই সংস্থার ডিরেক্টর। উইল অনুযায়ী, ৭৪ বছর বয়সি মোহিনীমোহন পাবেন রতন টাটার অবশিষ্ট সম্পত্তির একতৃতীয়াংশ। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্কে জমা থাকা ৩৫০ কোটিরও বেশি টাকা এবং রতন টাটার ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা ছবি ও ঘড়ি বিক্রির আয়। যদিও মোহিনীমোহনের দাবি, তাঁর পাওয়া উচিত ৬৫০ কোটি টাকা।