
সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, ওঙ্কারঃ আরজি কর হাসপাতালে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনায় একাধিক পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। এর মাঝেই দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার ব্যাপারে পদক্ষেপ শুরু করল কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের তরফে ২৬ টি ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। সেখানে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার মধ্যরাতে আরজি কর হাসপাতালে তান্ডব চলানোর ঘটনার অভিযুক্ত কয়েক জনের ছবি প্রকাশ করল লালবাজার। এদের ‘সন্ধান চাই’বলে বিজ্ঞপ্তি দিল কলকাতা পুলিশের। বৃহস্পতিবার সকালে ফেসবুকে ঘটনার ২৬টি ছবি প্রকাশ করেছে লালবাজার। তাতে বেশ কয়েক জন পুরুষ ও মহিলাকে লাল গোল দাগে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের সন্ধান চেয়েছে পুলিশ।
সঙ্গে পোস্টে লেখা হয়েছে ‘‘সন্ধান চাই: নীচের ছবিতে যাদের চেহারা চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের সন্ধান জানা থাকলে অনুরোধ, জানান আমাদের, সরাসরি বা আপনার সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে”।’’
প্রসঙ্গত, চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির মধ্যেই বুধবার মাঝরাতে আচমকাই আরজি কর হাসপাতালের চত্বরে ঢুকে পড়ে একদল বহিরাগত। ভেঙে উপড়ে ফেলা হয় জরুরি বিভাগের কোলাপসেবল গেট। জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে এইচসিসিইউ, সিসিইউ, ওষুধের স্টোররুম লন্ডভন্ড করে দেন হামলাকারীরা। মেঝেতে ছুড়ে ফেলা হয় ওষুধপত্র। তছনছ করা হয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট। ভাঙচুর করা হয় আরজি করের পুলিশ ফাঁড়ি, এমনকি চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চও! পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর এবং পুলিশকর্মীদের উপর হামলাও চালানো হয়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় র্যা ফ। ফাটান হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল । ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ভিড়। হামলাকারীদের একাংশকে তাড়া করে এলাকাছাড়া করে পুলিশ। কিন্তু পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে হামলাকারীরা। ছোড়া ইটে জখম হন একাধিক পুলিশ কর্মী। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুলিশ শুরুতে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।