
ওঙ্কার ডেস্ক: তিন বছর অতিক্রম করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ। এই নিয়ে রাশিয়া, আমেরিকা এবং ইউরোপের ন্যাটোভুক্ত দেশগুলির মধ্যে কূটনৈতিক পরিস্থিতি জটিলতর হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীবার আমেরিকার ক্ষমতায় এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। মূলত তাঁরই উদ্যোগে শুরু হয় শান্তি প্রক্রিয়া। যার পথ ধরে অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মঙ্গলবার সৌদি আরবের জেদ্দায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন তিনি। জেলেনস্কির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ায় এবার রাশিয়াকেও শান্ত করার পথে নামছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কিছু ক্ষণ আগে ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এ বার রাশিয়ার পালা। আশা করি, পুতিনও এতে সম্মত হবেন। দুই দেশেই বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন। আমরা এই যুদ্ধের অবসান চাই।’ শুধু তাই নয়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারির বাকবিতণ্ডার ঘটনা দূরে ঠেলে জেলেনস্কিকে আবার হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানাতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে পুতিনের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের জেদ্দায় মঙ্গলবার বৈঠক শুরু হওয়ার আগের রাতেই কিয়েভে হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী রাতভর ইউক্রেনে বিমানহামলা চালিয়েছে। শুধু আকাশপথেই নয়, কুর্স্কের মতো জায়গায় স্থলপথেও হামলা চলেছে। মেয়র ভিটালি ক্লিটস্কো জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিমান হামলা রুখতে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী তৎপরতা শুরু করেছে আগে থেকেই। তবে মঙ্গলবার ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও রাশিয়া এখন কী করে সেদিকেই তাকিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।