
গোপাল শীল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : কে বলে দারিদ্রতার জীবনে স্বপ্ন দেখা বাহুল্যতা? কঠিন অধ্যাবসায় এবং দৃঢ় মনোবল যে সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে সাফল্য এনে দিতে পারে তার প্রমাণ কৃষ্ণচন্দ্রপুরের স্নেহা নাটুয়া। তীব্র দারিদ্রতা হার মেনেছে বিদ্যা লাভের ইচ্ছার কাছে। জানুন টালির ঘরে থেকে আলোর দিশায় যাওয়া মেয়ের গল্প।
যখন প্রতিকূলতা ধীরে ধরে তখন প্রয়োজন হয় মানসিক বল ইচ্ছার শক্তি আর কঠিন অধ্যাবসায়। আর এই তিন শক্তিকে হাতিয়ার করেই সর্বভারতীয় ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় সাফল্য পেল কৃষ্ণচন্দ্রপুরের স্নেহা নাটুয়া। প্রবল পারিবারিক আর্থিক সংকটের মধ্যেও কোচিং ছাড়া বাড়িতে পড়েই এই সাফল্য এসেছে তার।
২০২৪ সালের সর্বভারতীয় ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৬৩২ নম্বর পেয়েছে সে। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের মেধাবী এই ছাত্রীটি দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করে এই সাফল্য পেয়েছে। সারাদিন ধরে একভাবে নাওয়া খাওয়া ভুলে মেয়ের পড়াশোনার জন্য কঠোর অধ্যাবসায় দেখেছেন স্নেহার মা। বর্তমানে মেয়েদেরই সাফল্য দেখে আপ্লুত তিনি। স্নেহার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তার চেষ্টা এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং বেশ কিছু ব্যক্তি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল বলে জানান কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি। ভালো পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত সঙ্গীত চর্চা করে থাকে সে। ছোট থেকেই মেধাবী ছাত্রী ছিল স্নেহা। ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখত ডাক্তার হওয়ার। সেই স্বপ্নে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পারিবারিক আর্থিক পরিস্থিতি। তবে সেসব কাটিয়ে স্নেহা এখন ভালো রেজাল্ট করেছে। স্নেহাও বড় হয়ে সকলের পাশে দাঁড়াতে চায়। দারিদ্র্যতা কে খুব কাছ থেকে দেখেছে সে তাই গরীব, দুস্থ ব্যক্তিদের সেবা করাই এখন তার লক্ষ্য বলে মনস্থির করেছে সে।