
গোপাল শীল, প্রতিনিধি: চাকরির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে সেই টাকা শোধ করতে সম্পত্তি হাতাতে বাবা মাকে মারধর করে ঘরছাড়া করার অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে প্রতিবেশীদের দাবি ছেলে বউ নয় আসল দোষে ওই বৃদ্ধ দম্পতিই। পিতা মাতা সন্তানের এই দন্দে, প্রশ্নচিহ্ন উঠছে সমাজ কোন দিকে এগোচ্ছে?
গঙ্গাসাগরের কীর্তনখালি এলাকার রাজারাম মাইতি এবং কাজল মাইতির এক ছেলে এক মেয়ে, মেয়ের বিয়ে হয়েছে অনেকদিন। বাড়িতে ছেলে মানিক লাল মাইতি ও তার স্ত্রী এবং দুই নাতিকে নিয়ে ভরা সংসার হঠাৎ করে ওই দম্পতির একমাত্র ছেলে মানিক লাল মাইতি এবং তার স্ত্রী দম্পতির কাছে টাকা এবং সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য জোর জবরদস্তি করে, না দেওয়ায় তাদেরকে মারধর করে মায়ের হাত ভেঙ্গে দেয় বলে অভিযোগ। যদিও পাড়া প্রতিবেশীর বক্তব্য সম্পূর্ণ অন্য। দম্পতির অভিযোগ একমাত্র ছেলে চাকরি দেবে বলে বহু টাকা লোকের কাছ থেকে নেয়, সেই টাকা শোধ করতে না পেরে তাদের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছে জায়গা এবং টাকার জন্য।যদিও একেবারেই সম্পূর্ণ অন্য কথা বলছেন পাড়া প্রতিবেশীরা। তাদের বক্তব্য বৃদ্ধ দম্পতি মিথ্যা কথা বলছেন।তাদেরকে ছেলে বাড়ি থেকে বের করেননি বরং এই দম্পতি তাদের মেয়ে জামাইয়ের উস্কানিতে ছেলে বৌমার উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার চালায়। ছেলে বৌমা ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বাড়িছাড়া।এমনকি হাত ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনা মিথ্যা বলে দাবি করেন প্রতিবেশীরা।এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। দম্পতির অভিযোগ তারা একমাস প্রায় ঘর ছাড়া জামাইয়ের বাড়িতে ঠাই নিয়েছে। বাড়ি ফিরতে পারছে না ভয়ে। এমনকি তাদের স্থানীয় দোকান নলকূপ এ যেতে বারণ করেছে শাসক দলের বেশ কিছু নেতা। অন্যদিকে শাসকদলের পক্ষ থেকে এক ঘরে করার কথা স্বীকার করা না হলেও দোকানে গিয়ে যাতে গুজব না ছড়ায় তাই দোকানে যেতে বারণ করা হয়েছে বলা হয়।এখানেই প্রশ্ন দোষী কারা?ছেলে বাবা মায়ের সম্পর্কের মধ্যে আইনি জটিলতা সমাজকে কি ইঙ্গিত দিচ্ছে?