
বাবলু প্রামানিক, বারুইপুর : দু’দিন লুকিয়ে থাকার পর অবশেষে গ্রেফতার কুলতলি গুলি কাণ্ডের মূল পাণ্ডা সাদ্দাম সর্দার। ঝুপড়িঝাড়ার বাণীরধল এলাকার একটি আলাঘর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাদ্দামকে আশ্রয় দেবার জন্য কুলতলির সিপিএম নেতা মান্নান খানকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটা নাগাদ এ বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালী সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি জানান শুধু সাদ্দাম নয়, এই এলাকায় এই ধরনের দুষ্কৃতী কার্যক্রমে আরও বেশকিছুজন জড়িত। তাঁদের খোঁজেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মান্নান এলাকায় সিপিএম দল করে বলে দাবি এলাকাবাসীর। শাহজাহান-জয়ন্তদের তৃণমূল-যোগ নিয়ে শাসকদলকে কোণ্ঠাসা করতে মাঠে নেমে পড়েছিল বামেরা. এবার সাদ্দামের ছায়াসঙ্গী মান্নানের সিপিএম-যোগকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছে জোড়াফুল শিবির. তৃণমূল বিধায়ক গণেশ মণ্ডল বলেন, ৩৪ বছরের বাম জামানায় বাংলাকে দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করা হয়েছিল
যদিও মান্নান খানের সিপিএম-যোগ মানতে নারাজ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী. তাঁর মন্তব্য, ওই এলাকায় মান্নান নামের কোনও সিপিএম-এর কর্মী নেই. সাদ্দামকে বাঁচাতেই বামেদের বদনাম করছে তৃণমূল, দাবি তাঁর.
উল্লেখ্য, গত সোমবার সাদ্দামের বাড়ির খাটের নিচে একটি সুড়ঙ্গের হদিশ পায় পুলিশ। সেখান দিয়েই সাদ্দাম পালিয়েছিল বলে পুলিশের অনুমান। তবে, সুড়ঙ্গ খুঁড়েও হল না শেষ রক্ষা.