
নিজেস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাঃ “যে রাঁধে সে চুল ও বাঁধে” ভাবছেন হঠাৎ করে কেনো বলছি এই প্রবাদটা! কেননা একাধারে যখন কোনো সাংবাদিক তথা চিত্রশিল্পী, তিনি যদি একটি আস্ত বই লিখে ফেলে, আর সেই বই যখন পাঠক সমাজে সমাদৃত হয় তখনতো এই কথাটা বলতেই হয়।
প্রকাশিত হলো শমিতা বসুর প্রথম বই, ‘ অন্যান্য ও প্যারিস কাকু ‘। প্রায় চার বছর আগের কথা আমাদের প্রায় সবারই মনে আছে । করোনা ভাইরাস যখন সারা বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। লকডাউন এর তালাতে তখন বিশ্ব বদ্ধ অবস্থায়। সেই যে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা আমদের সবার হয়েছিল, যা আজীবন মনে থাকবে। এরকম পরিস্থিতিতে শমিতা একটু অক্সিজেন পাওয়ার জন্য কলম ধরেন। খবর ও সমোলচনার বাইরে গিয়ে লিখে ফেললেন লকডাউনের বাস্তব কথা। এবার সামনে এলো সেই কথা বই হয়ে। সপ্তর্ষি প্রকাশন থেকে ‘অন্যান্য ও প্যারিস কাকু’ বইটি প্রকাশিত হয়েছে।
চিত্র শিল্পী হিসাবে শমিতা বসু পরিচিতি রয়েছে। তিনি বামপন্থী কবি অনুবাদক এবং প্রাবন্ধিক মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায় ও উর্মিলা চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক। ছোট থেকেই মামা ও তার মেসোমশাইয়ের কাছ থেকেওয়াশ পেইন্টিং, টেম্পেরা ও প্যাস্টেলের ব্যবহার শেখেন। তবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিল্পশিক্ষার কোনো পাঠ ছিলনা। বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন প্রথমে বিজ্ঞাপন এবং পরে কর্পোরেট জগতের সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব প্রতীক বসুর সঙ্গে। তাঁরই জীবিকার সূত্রে প্রায় দু-দশক বোম্বাই বাস। বোম্বাই থাকাকালীন কলকাতা এবং বোম্বাই শহরে বহু একক প্রদর্শনী ছাড়াও বোম্বাই কলকাতা হায়দ্রাবাদ এবং লন্ডনে বেশ কিছু সম্মিলিত চিত্র প্রদর্শনীও করেছেন যা দর্শক, শিল্প রসিক এবং সমালোচকদের কাছে যথেষ্ট সমাদৃত হয়েছে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে একজন সাংবাদিক হিসেবে প্রায় ছয় বছর কাজ করেছেন। চিত্রসমালোচকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সৃষ্টিশীল মানুষ শমিতা বসু এবার গল্পের মধ্যে চিত্র এঁকেছেন। যার ফসল ‘অন্যান্য ও প্যারিস কাকু ‘