
তামসী রায় প্রধান,ওঙ্কারঃ মেঘভাঙা বৃষ্টি, আর তিস্তার হড়পা বানে বিধ্বস্ত পাহাড়ি রাজ্য সিকিম। তিস্তার ভয়ঙ্কর রূপ দেখেছে গোটা দেশ। সিকিমের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলা। এদিকে বাংলার সঙ্গে সিকিমকে লৌহ পথে জুড়তে কাজ চলছে সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের। কিন্তু এই প্রকল্প এখন পরিবেশ প্রেমীদের কাছে অশনিসংকেত। পাহাড় ভেঙ্গে রেল প্রকল্পের বিরোধিতা আরও জোরদার হয়েছে। পাশাপাশি নানা কারনে প্রকল্পটি নিয়ে শুরু হয়েছে অনিশ্চয়তা।
প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ইন্টারন্যাশনাল’র সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের ডিরেক্টর মহিন্দর সিং সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘প্রকল্প পর্যন্ত তিস্তার জল না পৌঁছানোয় সরাসরি কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে গেইলখোলা এবং তিস্তাবাজারের মধ্যে জাতীয় সড়ক নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত কিছু সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না। যা সামগ্রী রয়েছে, তা দিয়ে কাজ করা যাচ্ছে না”। তিনি আরও বলেন, তাদের কাছে এখন প্রয়োজনীয় ডিজেল এবং সিমেন্ট নেই। গেইলখোলা এবং তিস্তাবাজারের মধ্যে জাতীয় সড়ক যত দিন না ঠিক হবে, ততদিন রেলের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না বলে মনে করছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ইন্টারন্যাশনাল।
রেল প্রকল্পর প্রায় সমস্তরকম কাজ বন্ধ। ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ইন্টারন্যাশনাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতেই সতর্ক বার্তা পেয়ে প্রকল্পটির কাজে যুক্ত শ্রমিক, কর্মীদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সে রকম কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। একটি ঠিকাদারি সংস্থার একটি প্ল্যান্ট এবং সেখানে থাকা যাবতীয় সামগ্রী তিস্তার গর্ভে চলে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, রেল প্রকল্পটির জন্য তিস্তাপাড়ের পাহাড় আরও ভঙ্গুর হয়ে উঠেছে বলেও পরিবেশপ্রেমীদের বক্তব্য। রেল প্রকল্পটি বন্ধ করার। প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৯ সালে প্রকল্পটির শিলান্যাস হলেও মূলত কাজ শুরু হয় ২০১৭ সাল থেকে।