
ওঙ্কার ডেস্ক: পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তানের মদতে সন্ত্রাসের বাড়বাড়ন্ত বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে বিভিন্ন দেশে সাত প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে মোদী সরকার। তেমনই এক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। শনিবার নিউ ইয়র্কে ভারতীয় কনস্যুলেটে বক্তব্য রাখার সময় তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদকোনও একটি দেশের সমস্যা নয়। এটা বিশ্বব্যাপী ব্যাধি। সবাইকে একজোট হয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’
থারুর নেতৃত্বে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলটি সফরের শুরুতেই গিয়েছিলেন নিউ ইয়র্কের ৯/১১ মেমোরিয়ালে। সেখানে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘এই জায়গাটিতে এসে আবেগ ধরে রাখা সহজ নয়। আমরা এসেছি এমন এক সময়ে, যখন ভারতে পহেলগাঁওয়ে আরও একটি জঙ্গি হামলা ঘটেছে। সন্ত্রাসের ক্ষত দুই দেশই বয়ে বেড়াচ্ছে।’ গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা ২৬ জনকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল। খুন করার আগে জঙ্গিরা ধর্ম পরিচয় জানতে চেয়েছিল। এদিন সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শশী থারুর বলেন, ‘হামলাকারীরা ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞেস করে হত্যা করছিল। অধিকাংশ নিহতই হিন্দু ছিলেন। এর পেছনে স্পষ্টভাবে দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর ষড়যন্ত্র ছিল।’ জঙ্গিদের সেই ফাঁদে পা দেননি ভারতের মানুষ। ধর্ম নির্বিশেষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই ঘটনার বিরোধিতা করেছে। কংগ্রেস সাংসদ বলেন, পহেলগাঁও হামলার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এর দায় স্বীকার করেছিল দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামের জঙ্গি সংগঠন। এই সংগঠনটি রাষ্ট্রসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত।
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন লোক জনশক্তি পার্টির শম্ভবী চৌধুরী, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সরফরাজ আহমেদ, তেলুগু দেশম পার্টির জি এম হরীশ বালায়াগি, বিজেপির শশাঙ্ক মণি ত্রিপাঠী, তেজস্বী সূর্য, ভূবনেশ্বর কে. লতা, শিব সেনার মল্লিকার্জুন দেবদা এবং ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত তরনজিৎ সিং।