
ওঙ্কার ডেস্ক: জমি দুর্নীতি মামলায় স্বস্তি পেলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ওই মামলায় ক্লিনচিট পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং শ্যালকও। বুধবার কর্নাটকের লোকায়ুক্ত তাঁদেরকে ক্লিনচিট দিয়েছে।
কর্নাটকের মাইসুরু নগরোন্নন নিগমের জমি বণ্টনের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। গত বছর সেই দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছিল কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, তাঁর স্ত্রী পার্বতী এবং শ্যালক মল্লিকার্জুনের। প্রবীণ কংগ্রেস নেতার স্ত্রী এবং শ্যালকের নামে ৫৬ কোটি টাকার বিনিময়ে মাইসুরুর অভিজাত এলাকায় জমি বরাদ্দ করা হয়েছিল বলে তথ্যের অধিকার আইনে জানা গিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল, বাজারে জমির যে দাম তার থেকে অনেক কম দামে সেই জমি দেওয়া হয়েছিল।
এরপর বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে যায় কর্নাটকের রাজনীতিতে। সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দেন কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ার চাঁদ গহলৌত। হাইকোর্টের সম্মতিতে লোকায়ুক্ত পুলিশ মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। এফআইআর দায়ের করা হয় অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সিদ্দারামাইয়াকে।
ওই দুর্নীতির তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। এরপর মামলাটি লোকায়ুক্তের হাত থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তথ্যের অধিকার কর্মী স্নেহময়ী। সেই দাবিতে তিনি হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যদিও আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। এবার সিদ্দারামাইয়া-সহ অভিযুক্তদের ক্লিনচিট দিল লোকায়ুক্ত।