
স্পোর্টস ডেস্ক : পুরীর সমুদ্রে স্পিড বোট উল্টে বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস এবং তাঁর স্ত্রী অর্পিতা৷ উত্তাল সমুদ্রে ঢেউয়ের দাপটে উল্টে গিয়ে জলে পড়ে যান স্নেহাশিস এবং তাঁর স্ত্রী৷ লাইফ জ্যাকেট থাকায় কোনওমতে ভেসে থাকেন তাঁরা৷ সমুদ্রের খুব বেশি গভীরে না হওয়ায় দ্রুত লাইফগার্ড এবং নুলিয়ারা গিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা-বৌদিকে উদ্ধার করেন।
গরমে ছুটি কাটাতেই পুরী গেছেন সস্ত্রীক স্নেহাশিস। গতবছর আইনি মতে দীর্ঘদিনের বান্ধবী অর্পিতার সঙ্গে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেন স্নেহাশিস। আইপিএলের ম্যাচ না থাকায় অনেকটাই হালকা স্নেহাশিস। সৌরভ আর তার দাদা র ঘনিষ্ট বন্ধু সঞ্জয় দাস বলেছেন আপাতত স্নেহাশিস আর তার স্ত্রী ভালো আছেন। স্নেহাশিসের স্ত্রী অর্পিতার অভিযোগ, ‘বোটটি অতিরিক্ত হালকা ছিল, কারণ পর্যাপ্ত যাত্রী ছিল না। যেখানে ১০ জন নিয়ে বোট ছাড়ার কথা সেখানে মাত্র ৩-৪ জন ছিল বোটে’। তিনি আরও জানান, ‘আমরা আগে থেকেই বলছিলাম এত কম লোক নিয়ে সমুদ্রে নামা ঠিক হবে কিনা, অপারেটররা বলেছিল সব ঠিক আছে’। তিনি বলেন, ‘আমরা সমুদ্রে নামার পরপরই বিশাল ঢেউ এসে বোটটিকে উল্টে দেয়। লাইফগার্ডরা সময়মতো না আসলে আমরা বাঁচতাম না। এখনও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারিনি’। ঘটনার পর প্রশাসনের কাছে কঠোর পদক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন অর্পিতা। তিনি বলেন, ‘পুরীর সমুদ্র অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির। এখানে স্পিডবোট চালানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা উচিত। আমি কলকাতায় ফিরে পুলিশ সুপার ও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখব এই বিষয়টি বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে’।