
স্পোর্টস ডেস্ক :——-বরফ গলল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আর ঋদ্ধিমান সাহার সম্পর্কে। এদিন ঋদ্ধি তার স্ত্রী রোমি সাহাকে নিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অফিসে যান, ছিলেন সৌরভের বন্ধু সঞ্জয় দাসও। দীর্ঘক্ষণ কথা হয় বাংলা ক্রিকেটের সর্বকালের দুই সেরা ক্রিকেটারের মধ্যে।শোনা যাচ্ছে পরের মরসুমে ত্রিপুরা ছেড়ে বাংলার আসবেন ঋদ্ধি। দুজনের মধ্যে আলোচনাও হয় সেই বিষয়। বাংলা ছেড়ে ঋদ্ধিমান ত্রিপুরাতে গিয়ে ভালো খেললেও দলের পারফরমেন্স খুব একটা আহামরি ছিল না। তবুও ক্যাপ্টেন ঋদ্ধিমানের নেতৃত্বে ত্রিপুরার পারফরমেন্স কিন্তু আগের থেকে উন্নতি করে।তবে এবার ঋদ্ধি তার বাংলায় ফিরতে চাইছেন। ঋদ্ধির সঙ্গে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরাতে যাওয়া সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই বাংলায় ফিরেছেন। এবার ঋদ্ধির পালা। আর কে না জানে কোনো পদে না থাকলেও বাংলা ক্রিকেট চালান সৌরভই।প্রসঙ্গত ২০২২ সালে ঋদ্ধিমান ভারতীয় দল থেকে বাদ যান তখন বোর্ড সভাপতি ছিলেন সৌরভ। আর বাদ পড়ার পরেই সৌরভের দিকে আঙ্গুল তুলে ঋদ্ধি বলেন,’কাঁধে অস্ত্রোপচারের পর আমি টিমে নিয়মিত ছিলাম না। পন্থকে যখন নিউজিল্যান্ড সিরিজে ছুটি দেওয়া হয়েছিল, আমি খেলেছিলাম। ঘাড়ের ব্যথা নিয়েও ৬১ করেছিলাম। দাদি বলেছিল, যতদিন আমি আছি, তোকে কিছু ভাবতে হবে না। দাদির কথা শুনে খুব স্বাভাবিক ভাবেই মনোবল বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সাউথ আফ্রিকা সিরিজের পর যখন উল্টো হল, তখন সত্যিই হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। দাদি কথা রাখেননি।একটা সিরিজে কী এমন হল? আমার বয়স কি হঠাৎই বেড়ে গেল নাকি?’এরপরেই সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস ঋদ্ধির বাংলার প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অপমানে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন পাপালি। সেই সময়ের সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া ঋদ্ধিকে বাংলায় থেকে যাওয়ার অনুরোধ করলেও তিনি শোনেনি। তবে এবার তিনি বাংলায় ফিরতে চান। ভারতীয় দলে আর সুযোগ পান না ঋদ্ধি ২০২২ সালে ঋদ্ধির হাত ধরে গুজরাট টাইটন্স আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয় আর গতবার রানার্স হয়। যদিও এবারে ভালো পারফরমেন্স করতে পারেননি ভারতের এক নম্বর উইকেটকিপার গুজরাটও মুখ থুবড়ে পরে। আর বেশিদিন হয়ত ক্রিকেট খেলবেন না ঋদ্ধি। সেই কারণে নিজের বাংলা থেকেই অবসর নিতে চান।