
ওঙ্কার স্পোর্টস ডেস্কঃ বাংলা দলে এই মুহূর্তে কজন বাঙালি ক্রিকেটার খেলে? গুনে দেখতে গেলে হয়তো ২-৩। ভারতীয় দলের বাংলা রঞ্জি টিম থেকে যারা খেলে তারাও বাইরের। মহম্মদ শামির বাড়ি উত্তরপ্রদেশ এবং আকাশদীপ সিং এর বাড়িও বিহারে। কিছু সিএবি কর্তার মদতে ভুয়ো আঁধার কার্ড দিয়ে পশ্চিমবঙ্গর নাগরিক দেখিয়ে কোচিং ক্যাম্পগুলোতে খেলছে ভিন রাজ্যের ক্রিকেটাররা। ফলে উঠে আসছে না বাঙালি ক্রিকেটার। এতদিন পর্যন্ত নিয়ম ছিল যে কোন একটি জাতীয় পরিচয় পত্র থাকলেই বাংলায় রেজিস্ট্রেশন করা যায়। ফলে স্থানীয় ঠিকানায় নতুন করে আধার কার্ড দেদার তৈরি করে খেলে যাচ্ছিলেন ভিন রাজ্যের খেলোয়াড়রা।
এবার এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে সিএবি।এবার যেকোনো একটি পরিচয় পত্র নয়, সব পরিচয় পত্র জমা দিতে হবে ক্রিকেটারদের। অর্থাৎ ভোটার কার্ড থেকে শুরু করে প্যান কার্ড স্কুলের কাগজপত্র সবকিছু। সঙ্গে দিতে হবে ব্যাঙ্কের শেষ তিন বছরের পাসবুকের খতিয়ান। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সই করে দেবেন সেই তথ্যে। অর্থাৎ আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড এবং ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের শেষ তিন বছরের তথ্য জমা দিতে হবে। কোন ক্রিকেটারদের পাসপোর্ট থাকলে সেটাও জমা দিতে হবে। মূলত উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, বিহার, হরিয়ানা খেলোয়াড়দের নিয়ে এসে তাদের পরিচয় পত্র বানিয়ে দিচ্ছে দালালচক্র। ২ মার্চ সিএবি আপেক্স কাউন্সিল বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সিদ্ধান্ত পাস হয়ে গেলে সংবিধান সংশোধন করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হবে।এদিন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, আমরা কোথাও কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিই। এটা বহুদিনের একটা সমস্যা। আশা করি দ্রুত সমাধান হবে এই সমস্যার।