
ওঙ্কার স্পোর্টস ডেস্কঃ আট বছর পর ফের একবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরু। প্রায় তিন দশক পর পাকিস্তানে হচ্ছে কোন বড় মাপের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। ২০০৯ সালের ৩রা মার্চ লাহোরে সন্ত্রাসবাদীদের হামলার শিকার হয় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। তার পর দীর্ঘ দিন পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ ছিল। নিরাপত্তার কারণে কোনও দেশই দল পাঠাতে চাইত না পাকিস্তানে। এমনকি কোনও দেশের বিরুদ্ধে খেলা হলেও তা খেলতে হত সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে।২০১৬ সাল থেকে ধীরে ধীরে পাকিস্তানে ফিরতে শুরু করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। এবছর তাই সুষ্ঠু ভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করা পিসিবির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। ক্রিকেট বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের সম্মান রক্ষার পরীক্ষা।
টি-টোয়েন্টি জমানার আগে ক্রিকেটকে নতুন নতুন দেশে জনপ্রিয় করতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চালু করেছিল আইসিসি। লক্ষ্য ছিল টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলিকে ৫০ ওভারের প্রতিযোগিতায় লড়িয়ে দিয়ে অর্থ উপার্জন এবং আইসিসির অ্যাসোসিয়েটস দেশগুলিতে ক্রিকেটের উন্নতির জন্য সেই অর্থ খরচ করা। প্রতিযোগিতা শুরুর কয়েক বছরের মধ্যেই আইসিসির মূল আশায় জল ঢেলে দেয় ২০ ওভারের ক্রিকেটের রমরমা। জনপ্রিয়তায় ৫০ ওভারের ক্রিকেটকে অনেক পিছনে ফেলে দেয় টি-টোয়েন্টি। এই মুহুর্তে বিশ্বে ক্রিকেটের যা অবস্থা তাতে ক্রিকেট মহলের একাংশ এক দিনের ম্যাচের ভবিষ্যৎ নিয়েই সন্দিহান। এই পরিস্থিতিতে আইসিসি আবার ফিরিয়ে এনেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ২০১৭ সালের পর ২০২৫। আট বছর পর আবার হচ্ছে এক দিনের ক্রিকেটের এই প্রতিযোগিতা। এ বার আয়োজক পাকিস্তান। বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড।
যদিও উপমহাদেশীয় রাজনীতির কারণে ভারত খেলছে না পাকিস্তানে, ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। ২০০৮ এর মুম্বই জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারতীয় দল পাকিস্তানে খেলতে যায়নি ভারত। এবারও হবে না তাঁর ব্যাতিক্রম।
ভারতীয় দল তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালে এই টুর্নামেন্টে ভারত ফাইনালে হেরেছিল পাকিস্তানের কাছে। এবার দলে নেই ভারতীয় বোলিং লাইনআপের সেরা অস্ত্র বুমরা। তাঁকে ছাড়াই মিনি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার মরিয়া লড়াইয়ে নামছে ভারত।