
ওঙ্কার স্পোর্টস ডেস্ক : ফুরিয়ে যাননি তিনি। বেশ কয়েকমাস ধরে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্রমাগত ব্যার্থ হচ্ছিলেন রোড শর্মা। সমালোচকরা প্রশ্ন তুলেছিলেন বারবার অধিনায়ক বলে আর কত সুযোগ পাবেন রোহিত। সব কটাক্ষকে উড়িয়ে কাল সেঞ্চুরি করে বুঝিয়ে দিলেন এখনও অনেক কিছুই বাকি, ফুরিয়ে যাওয়ার সময় এখনও আসেনি। ঝোড়ো সেঞ্চুরি করে প্রায় একাই জেতালেন ম্যাচ এবং সেই সঙ্গেই তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ ও পকেটে পুরল ভারত।
কটকে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। শুরুটা খারাপ করেনি ইংল্যান্ড। ঝড়ো শুরূ করেন ফিল সল্ট ও বেন ডাকেট। দুজনের জুটিতে ওঠে ৮১ রান। সেটা ভাঙেন এদিনই ওয়ানডেতে অভিষেক হওয়া বরুণ চক্রবর্তী। ৫৬ বলে ৬৫ রান করে ফেরেন ইংরেজ ওপেনার ডাকেট। সেখান থেকে রানের গতি কিছুটা কমে যায় ব্রিটিশদের। তার মধ্যেও জো রুট ৬৯ রান করে ইংল্যান্ডের ইনিংসকে শক্ত মাটিতে দাঁড় করিয়ে ফেরেন। অধিনায়ক বাটলারকে ফেরান হার্দিক পাণ্ডিয়া। শেষবেলায় জ্বলে ওঠেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ৩২ বলে ৪১ রান করে শেষ ওভারে রান আউট হয়ে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ৩০৪ রানে।
ব্যাটিং করতে নেমে ঝোড়ো শুরু করে রোহিত – গিল জুটি। রোহিতের অফ ফর্ম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চর্চা চলছিল ক্রিকেট মহলে। সেই সব কিছুর উত্তর দিলন এদিনের সেঞ্চুরিতে। মাত্র ৩০ বলে এল হাফসেঞ্চুরি। মাঝে ফ্লাডলাইটের আলো নিভে যাওয়ায় খেলা বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। কিন্তু তারপরও থামেনি রোহিতের ধামাকা। ছক্কা হাকিয়ে পুরন করলেন ৩২তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৯০ বলে ১১৯ রানে থামে হিটম্যানের ইনিংস। অন্যদিকে দুরন্ত ফর্ম অব্যাহত দলের নতুন সহ অধিনায়ক শুভমান গিলের। ৫২ বলে ৬০ রান করেন তিনি। কিন্তু এদিন ও রান পেলেন না বিরাট কোহলি, ৮ বলে মাত্র ৫ রান করে আদিল রশিদের বলে ফেরেন তিনি।
রোহিত আউট হওয়ার আগেই জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছিল ভারত। রোহিত আউট হওয়ার পর শ্রেয়স আইয়ার, অক্ষর প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় জয়ের দিকে। কটকে এদিন ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল টিম ইন্ডিয়া, এই জয়ের ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ফুরফুরে ভারত। প্রশ্ন শুধু থেকে গেল একটাই – কবে ফর্মে ফিরবেন বিরাট?