
ওঙ্কার স্পোর্টস ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ফের ব্যর্থতা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল মহমেডানকে। এই নিয়ে টানা পঞ্চম ম্যাচে হারল তারা। সব মিলিয়ে ১৪ নম্বর হার তাদের। বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে জামশেদপুর এফসি-র কাছে ০-২-এ হারে মহমেডান। এই নিয়ে ঘরের মাঠে এগারোটি আইএসএল ম্যাচ খেলা হয়ে গেলেও একটিও জিততে পারল না তারা। এ দিন ম্যাচের ছ’মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যায় জামশেদপুর এফসি। ফরোয়ার্ড ঋত্বিক দাসের সুযোগসন্ধানী গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে ৮২ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়িয়ে নেন নিখিল বারলা।
হারের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেহারাজউদ্দিন বলেন, “দলের পারফরম্যান্সে নেতিবাচক দিকের সঙ্গে ইতিবাচক দিকও আছে। আমাদের দল কোন পরিস্থিতিতে লড়াই করছে, তা সবাই জানেন। আর জামশেদপুরের মতো টেবলের ওপরের দিকে থাকা দলের বিরুদ্ধে যে চাপে পড়ব আমরা, এটাই স্বাভাবিক। তবু ছেলেরা লড়েছে, জেতার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ম্যাচের শুরুতেই গোল খেয়ে যাওয়ায় কাজটা কঠিন হয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভাল আক্রমণ করেছি। তবে জামশেদপুর ভালো দল। ওদের ভালো ভালো খেলোয়াড় আছে। ওরা ভালো খেলেছে। তবে নিজেদের ভুলেই আমরা গোল খেয়েছি, যা সারা মরশুম ধরেই হয়ে এসেছে”।
লিগে আর তিনটি ম্যাচ বাকি আছে তাদের। এই কঠিন ম্যাচগুলিতে যথাসাধ্য ভাল খেলার চেষ্টা করবে তাঁর দল, জানিয়ে মেহরাজউদ্দিন বলেন, “মরশুমের শুরুতে যে রকম ভেবেছিলাম আমরা, তা হয়নি। এখন শেষ কয়েকটি ম্যাচে আমাদের ক্লাবের গর্ব, ঐতিহ্য ও সমর্থকদের কথা মাথায় রেখে খেলতে হবে। শেষ তিন ম্যাচের মধ্যে দুটো অ্যাওয়ে ম্যাচ। কঠিন হবে। তবে এই ম্যাচের কথা ভুলে পরের ম্যাচগুলোতে মনোনিবেশ করার চেষ্টা করতে হবে আমাদের। ভাল খেলতে হবে”।
গত ম্যাচে আইএসএল অভিষেক হয় বাংলার তরুণ ফরোয়ার্ড রবি হাঁসদার। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে পরিবর্ত হিসেবে নেমে একটি গোলে অ্যাসিস্ট করেন তিনি এবং একটি অবধারিত গোলের সুযোগ থেকে বঞ্চিতও হন। আধ ঘণ্টার সেই পারফরম্যান্সের জন্য তাঁকে এ দিন প্রথম এগারোয় খেলার সুযোগও দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি তিনি।