
ওঙ্কার ডেস্কঃ টানা দুই ম্যাচে ড্রয়ের পর এই মুহূর্তে কিছুটা চাপে মোহনবাগান । যদিও লিগ টেবিলের শীর্ষেই রয়েছে তারা। কিন্তু জয়ে ফিরতে না পারলে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে পারে তারা। অন্যদিকে, সোমবার তাদের প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসিও রয়েছে চাপে। টানা চার ম্যাচে জিততে না পেরে দু’নম্বর থেকে তিন নম্বরে নেমে গিয়েছে তারা। সোমবার মোহনবাগানকে হারাতে না পারলে সেই জায়গাটাও হারাতে পারে তারা। অর্থাৎ, সোমবার দুই দলই মাঠে নামছে জয় লাভের জন্য।
গতবারের শিল্ড খেতাব ধরে রাখার জন্য মরিয়া মোহনবাগান। কিন্তু গত তিন ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্সে যে অশনি সঙ্কেত দেখা দিয়েছে, তার পরে সাবধান না হলে সমস্যায় পড়তে পারে তারা। যা হয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি-র ক্ষেত্রে।
এ পর্যন্ত ১৭টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র দু’টিতে হেরেছে মোহনবাগান। লিগের শুরুর দিকে বেঙ্গালুরু এফসি-র কাছেই তিন গোলে হেরেছিল মোহনবাগান। সেপ্টেম্বরে রীতিমতো দাপুটে ফুটবল খেলে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জিতেছিলেন সুনীল ছেত্রীরা। ন’মিনিটের মাথায় স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড এডগার মেনডেজের গোল দিয়ে এই জয়যাত্রা শুরু করে গতবারে লিগ তালিকায় থাকা দশ নম্বরে থাকা দলটি। ২০ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়ান সুরেশ ওয়াংজাম। বিরতির পর পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে জয় এনে দেন সুনীল ছেত্রী। এ বার সেই হারের বদলা নিতে নামবেন শুভাশিস বোসরা।
তবে সেই বেঙ্গালুরু আর এই বেঙ্গালুরুর মধ্যে ফারাক রয়েছে। সেই জয় ছিল তাদের টানা তৃতীয় জয়, যার ধারাবাহিকতা বজায় থাকায় তারা লিগ টেবলের শীর্ষেও উঠে যায়। পরে সেই জায়গা থেকে তাদের নামিয়ে এক নম্বরে ওঠে সবুজ মেরুন শিবির। সেই জায়গা খোয়ানোর পর থেকে বেঙ্গালুরুর দুঃসময় চলছে। সুসময় ফেরাতে জয়ে ফিরতেই হবে তাদের।
গত তিন ম্যাচেই প্রচুর সুযোগ পেয়েও গোল করতে পারেনি সবুজ-মেরুন বাহিনী। যা নিয়ে দলের তারকা স্ট্রাইকার দিমিত্রিয়স পেত্রত্রাস সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা নিয়মিত গোলের সুযোগকে গোলে পরিণত করার অনুশীলন করি। এই ব্যাপারে যথেষ্ট পরিশ্রম করি আমরা। তাই আমার ধারণা গোল আসবেই। এই নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই”।
কোচ মোলিনা জানেন, লিগশিল্ড জেতা মোটেই সহজ হবে না। জয়ের পথে ফিরতেই হবে তাদের। না হলে শীর্ষস্থান বজায় রাখা কঠিন হবে। এফসি গোয়া যে ভাবে তাদের তাড়া করে ব্যবধান কমানোর মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে, তাতে আসন্ন কোনও ম্যাচে মোহনবাগান সফল না হলে লিগ শীর্ষে জায়গা ধরে রাখা কঠিন হবে। সে জন্যই এই ম্যাচে জয় অবশ্যই দরকার।