
স্পোর্টস ডেস্ক :এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল পর্বের শুরুতেই ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল । বুধবার তাদের ঘরের মাঠে লাল-হলুদ বাহিনীকে ১-০-য় হারায় তুর্মেনিস্তানের এক নম্বর দল এফকে আর্কাদাগ। প্রথমার্ধে দশ মিনিটের মাথায় অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ইয়াজগিলিক গুরবানভের গোলে তাদের অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় তাঁর দল। ইস্টবেঙ্গল একাধিকবার সমতা আনার চেষ্টা করেও পারেনি। প্রতিপক্ষের দুর্ভেদ্য রক্ষণে বারবার আটকে যায় তারা। সারা ম্যাচে সব মিলিয়ে একটি শট গোলে ছিল তাদের।
কলকাতার দলের আক্রমণে যতটা গতি ও তীব্রতা আশা করা হয়েছিল, তা এ দিন দেখা যায়নি তাদের খেলায়। বক্সের বাইরে থেকে ছ’টি ও ভিতর থেকে সাতটি শট নিলেও কোনওটিকেই গোলে পরিণত করতে পারেনি তারা। আক্রমণে দিয়ামান্তাকস, মেসি বৌলি ও সেলিস- তিন বিদেশী থাকা সত্ত্বেও শারীরিক সক্ষমতায় এগিয়ে থাকা ডিফেন্ডারদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি তারা। এই হারের ফলে ইস্টবেঙ্গলের সেমিফাইনালে ওঠার রাস্তা বেশ কঠিন হয়ে গেল। কারণ, আগামী বুধবার আর্কাদাগের ঘরের মাঠে নেমে জিততে হবে তাদের, যা বেশ কঠিন তাদের পক্ষে। কারণ, ঘরের মাঠে আর্কাদাগকে আজ পর্যন্ত কোনও দলই হারাতে পারেনি।
এ দিন পাঁচ বিদেশীকে নিয়ে খেলা শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। আক্রমণে দিয়ামান্তাকস, মেসি বৌলি, মাঝমাঠে সেলিস ও ক্রেসপো এবং রক্ষণে ইউস্তে। জিকসন সিংকে রক্ষণের কর্তব্য পালন করতে দেখা যায় রকিপ ও লালচুঙনুঙ্গার সঙ্গে। মাঝমাঠে দুই বিদেশীকে সঙ্গে দেন শৌভিক ও মহেশ। ৪-৪-২-এ দল সাজান তাঁদের কোচ অস্কার ব্রুজোন, যেখানে ৪-২-৩-১-এ দল সাজায় আর্কাদাগ। আক্রমণে দুরদিয়েভকে রেখে তাঁর পিছনে রাখা হয় গুরবানভ, আকমামেদভ ও তির্কিশভকে।এদিন প্রায় ৪০ হাজার দর্শক মাঠে আসেন। ম্যাচের শেষে তারা কাঁদেন। ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বললেন,সমর্থকদের মধ্যে তো আমিও পড়ি। আমিও সমর্থক। আমারও কান্না পাচ্ছে। কী করা যাবে? দিমি গতবারের সর্বোচ্চ স্কোরার। তাঁকে নেওয়ার জন্য সমর্থকরা পাগল হয়ে গিয়েছিল। আমরা নিয়েছি। সে যদি ক্লিক না করে, পারফর্ম না করে, আমি কী করতে পারি? দল আমরা করি না। কোচ করে। কোচ যা টিম করবে সেটা নিয়েই চলতে হবে। সমর্থকদের কষ্ট হবেই। আমরা সবাই কষ্ট পাচ্ছি। যত তাড়াতাড়ি কষ্টের দিন অতিক্রম করা যায় তার চেষ্টা কোম্পানিও করছে, আমরাও করছি।’
ঘরের মাঠে হারায় অ্যাওয়ে ম্যাচে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হবে। আশা ছাড়ছে না লাল হলুদ শিবির। শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, ‘রবিবার একটা ম্যাচ খেলেছে। কপাল হোক, ক্লান্তি হোক, ঠিক ক্লিক করছে না। সবাই দেখেছে কী গোল মিস করেছে। তবে ওরা খুব স্মার্ট। বুদ্ধিমতি দল। টেকনিক্যালি শক্তিশালী। আমাদের কোচ পজিটিভ। শিলংয়ের ম্যাচে কয়েকজনকে বিশ্রাম দিতে পারলে দ্বিতীয় লেগে ভাল রেজাল্ট আশা করা যায়।’