
স্পোর্টস ডেস্ক : দুবাইয়ে নিউ জিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য বোলিং বরুণ চক্রবর্তী -র। টুর্নামেন্টে প্রথমবার খেলতে নেমে ৪২ রানে ৫ উইকেটের অবিশ্বাস্য স্পেল করলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকা স্পিনার। ভারতের ২৪৯ রান তাড়া করতে নেমে নিউ জিল্যান্ড মাত্র ৪৫.৩ ওভারে ২০৫ রানে অল আউট হয়ে গেল। বরুণের ভেল্কিতে নিউ জিল্যান্ডকে ৪৪ রানে হারিয়ে গ্রুপ লিগের সব কটা ম্যাচে জিতে সেমিফাইনালে খেলবে রোহিত শর্মা-র দল। শ্রেয়স আইয়ারের ৭৯ রানের দুরন্ত ইনিংসটাও টিম ইন্ডিয়ার হ্যাটট্রিক জয়ে বড় ভূমিকা নিল।
মঙ্গলবার সেমিফাইনালে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া
মঙ্গলবার দুবাইয়ে প্রথম সেমিফাইনালে টিম ইন্ডিয়ার প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।আর বুধবার দ্বিতীয় সেমিফাইনাল লাহোরে খেলবে নিউ জিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা।নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে. এদিন ভারতের জয়ের অন্যতম কারিগর বল হাতে বরুণ চক্রবর্তীর সঙ্গে শ্রেয়স আইয়ারও ৯৮ বলে ৭৯ রান করলেন। শতরান মিস হলেও আফসোস নেই। বরং শেষ অবধি টিকে থাকতে না পারায় খারাপ লাগছে শ্রেয়সের। তার কথায় ,’ক্রিজ়ে অনেক ক্ষণ ছিলাম। হাত জমে গিয়েছিল। জানতাম, ক্রিজ়ে থাকলে রান আসবে। শুরুতে একটু ধীরে খেলেছি। যত সময় গড়িয়েছে হাত খুলেছি। ভেবেছিলাম, শেষ পর্যন্ত খেলব। কিন্তু খারাপ শট খেলে আউট হয়ে গেলাম। সেটাই খারাপ লাগছে।”আমি জানতাম না বরুণ খেলবে। অনুশীলনের সময় শুনতে পাচ্ছিলাম, এক জন অতিরিক্ত স্পিনার খেলানো হতে পারে। কিন্তু কাকে খেলানো হবে তা জানতাম না। দল নির্বাচনের দায়িত্ব গম্ভীর ভাই ও রোহিত ভাইয়ের। ওরা বুঝিয়ে দিয়েছে যে বরুণকে খেলিয়ে ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে।”
গত মরসুমে আইপিএলে বরুণ ছিলেন শ্রেয়সের বড় অস্ত্র। কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করতে বরুণ বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। সেই বোলারের সাফল্যে খুশি শ্রেয়স। তিনি বলেন, “বরুণ অনেক উন্নতি করেছে। ওকে খেলা কঠিন। বিশেষ করে দুবাইয়ের মন্থর উইকেটে ও আরও ভয়ঙ্কর। বরুণ বুঝিয়ে দিয়েছে, সেরা ফর্মে থাকলে ওকে খেলা প্রায় অসম্ভব।’ খারাপ সময় গেছে তার। রঞ্জি না খেলায় বোর্ডের চুক্তি থেকেও গত বছর বাদ যান। তবে শ্রেয়স বললেন,’খারাপ সময় তেমন কাউকেই পাশে পাইনি। লড়াই নিজেকেই লড়তে হয়েছে।’