
ওয়েব ডেস্ক: গত ১৫ মাস ধরে চলা ইজরায়েল বনাম হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হবে চলতি সপ্তাহেই। চলতি সপ্তাহে ইজরায়েল এবং হামাসের প্রতিনিধিরা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করবে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এই খবর ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে। বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্যোগে হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি তৈরি করা হয়। রবিবারের ভিতর ওই চুক্তিতে সইসাবুদ করবে উভয়পক্ষ।
ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে একাধিক দেশ গত কয়েকমাস ধরে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছে। এই দেশগুলির মধ্যে অন্যতম দেশ কাতার, এছাড়া রয়েছে মিশরও। সূত্রের খবর, যুদ্ধবিরতির জন্যে কাতারের প্রধানমন্ত্রী হামাস ও ইজরায়েলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যে বৈঠক করেছেন তার ফলাফল সদর্থক।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হলে যুদ্ধের ফলে ঘরছাড়া লক্ষ লক্ষ প্যালেস্তিনীয় নাগরিক ঘরে ফিরতে পারবেন। প্যালেস্তিনীয় নাগরিকরা যুদ্ধবিরতির খবরে এখন যারপরনাই আনন্দিত। ২০ জানুয়ারি শপথ নিতে চলা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। এসম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প।
সূত্রের খবর, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরে হামাস মোট ৩৩জন ইজরায়েলি যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দেবে। একইভাবে ইজরায়েলও যুদ্ধবন্দি হিসেবে আটক প্যালেস্তিনীয় নাগরিকদের মুক্তি দেবে। প্রসঙ্গত, গত ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধে অন্তত ৪৬ হাজার প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের একাংশ নারী ও শিশু।
বৃহস্পতিবার কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেছেন, ইজরায়েলের সংসদ অনুমোদন দেওয়ার পরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি চলতি সপ্তাহের শেষ থেকে কার্যকর হবে। অন্যদিকে, এই চুক্তি কার্যকর হতে চলার জন্য ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তবে এখনও গাজায় অশান্তি অব্যাহত। হামাস সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি সূত্রের খবর, বুধবার ইজরায়েল গাজায় নতুন করে হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় মৃতের সংখ্যা ২০জনের বেশি।
ভিডিও দেখুন-